রাত পোহালেই ঈদ। ঘরমুখো হচ্ছে কর্মজীবি সাধারণ মানুষ। মহাসড়ের যানজট থাকায় দুর্ভোগের শিকার হয়ে ঘরে ফিরছে সাধারণ মানুষ। তবে সকাল থেকে টানা বৃষ্টির কারণে দুর্ভোগের মাত্রা দ্বিগুন হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার সকালে দৌলতদিয়া ঘাট এলাকা ঘুরে ও ঘরমুখো মানুষের সাথে কথা বলে এমনি চিত্র দেখা ও জানা যায়।
এদিকে টানা বৃষ্টির মধ্যে অনেক যাত্রী মোটরবাইক ও গণপরিবহনে যাওয়ার চেষ্টা করছে। আবার অনেক যাত্রী বিভিন্ন হোটেল ও দোকানে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছে। তবে দৌলতদিয়া পারে পর্যাপ্ত পরিমান গণপরিবহন থাকার কারণে ঘরমুখো যাত্রীরা নদী পার হয়ে এসে সহজে গৌন্তব্য স্থানে যেতে পারছেন।
এ সময় কথা হয় ফরিদপুর গামী শামসুর নাহার নামের এক নারীর সাথে। তিনি বলেন, ঈদে কষ্ট জানি। তবে এতটা কষ্ট হবে কখনও বুঝতে পারি নাই। বৃষ্টিতে সন্তান নিয়ে সম্পন্ন ভিজে গেছি। তিনি আরও বলেন, এত কষ্ট হবে জানলে ঢাকায় থেকে আসতাম না।
কথা হয় গোপালগঞ্জ গামী সুবর্ণা আজমীর নামের এক ব্যক্তি সাথে তিনি বলেন, কষ্ট হবে ভেবে জেনেও ঢাকা থেকে এসেছি। কিন্ত বৃষ্টিতে ভিজতে হবে এটাতো ভাবি নাই। এখন বৃষ্টিতে সারা শরীর ভিজে গেছে। সাথে থাকা শিশু বাচ্চাও ভিজে গেছে। এই ভিজা শরীর নিয়ে গোপালগঞ্জ যেতে হবে। জানি না, কি হয়।
করিব হোসাইন নামের এক যাত্রী বলেন, পাটুরিয়া ঘাট থেকে ভিজতে শুরু করেছি। এখনও বৃষ্টিতে ভিজতে হচ্ছে। আরও কত ভিজতে হবে কে জানে। তিনি বলেন, ভিজা শরীর নিয়ে আরও কত সময় পর বাড়িতে যেতে পারব। এটা সঠিক বলতেও পারছি না।