পবিত্র ঈদুল আজহায় পশু কোরবানির জন্য নগরীর ৩১টি ওয়ার্ডের ১৪০ পয়েন্ট নির্ধারণ করে দিয়েছে খুলনা সিটি করপোরেশন (কেসিসি)। আর কোরবানির পশুর বর্জ্য ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অপসারণের সব প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে।
এছাড়া জিবাণুমুক্ত করতে ছিটানো হবে ব্লিচিং পাউডার ও স্যাভলন। বুধবার (২১ জুলাই) দুপুরে বর্জ্য অপসারণের কাজ শুরু হবে। পরিবেশ দূষণ রোধে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
কেসিসির সূত্রে জানা গেছে, প্রতি বছর ঈদুল আজহার দিন খুলনা মহানগরীতে বাড়ির সামনে এবং রাস্তার ওপর গরু-ছাগল কোরবানি দেওয়া হয়। এর ফলে পরিবেশ দূষিত হয়। এতে দুর্গন্ধ ছড়ায় এবং ড্রেনের পানি চলাচল বিঘ্নিত হয়।
বর্জ্য অপসারণে পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের বেগ পেতে হয়। এছাড়া পশু জবাই দেখে অনেক শিশু ভয় পায়। এ অবস্থা নিরসনে মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে তৎপর হয়েছে কেসিসি।
এবার ঈদে কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণ, মশক নিধন কাজ এবং করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে নগরীর সড়ক জীবাণুমুক্ত করার কাজ একসঙ্গে চলবে। এ জন্য বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সব কর্মকর্তা-কর্মচারীর ছুটি বাতিল করা হয়েছে।
বর্জ্য অপসারণের জন্য কেসিসির ওয়ার্ড পর্যায়ে ৭৩০ জন শ্রমিকের সঙ্গে দৈনিক মজুরির ভিত্তিতে আরও ১০০ শ্রমিক নেওয়া হচ্ছে। বর্জ্য অপসারণের কাজে কেসিসির বিভিন্ন সাইজের ৪০টি ট্রাক ও পাঁচটি পে-লোডার প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
কেসিসির প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা আবদুল আজিজ জানান, নগরীর ১৪০ পয়েন্টে কোরবানির পশু জবাই করার জন্য নির্ধারণ করা হয়েছে। নির্ধারিত স্থানে পশু কোরবানি হলে দ্রুত ময়লা-আবর্জনা অপসারণ করা সম্ভব হবে। কোরবানির পশু জবাইয়ের বর্জ্য অপসারণে ৪০টি ট্রাক থাকবে।
তিনি আরও বলেন, এছাড়া পাঁচ শতাধিক ভ্যান থাকবে। ট্রাক ও ভ্যান নগরীর বিভিন্ন পয়েন্টে থাকবে। ময়লা ড্যাম্পিংয়ের জন্য নগরীতে ছয়টি ক্লোজ স্পেস, চারটি আধাপাকা ও ২০টি ওপেন স্পেস রয়েছে। আর সব ময়লা ও বর্জ্য নির্ধারিত একটি স্থানে ড্যাম্পিং করা হবে।
তিনি বলেন, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বর্জ্য অপসারণ করা হবে। নগরীর বিভিন্ন স্থান জিবাণুমুক্ত করতে ৬ টন ব্লিচিং পাইডার এবং ৪০০ লিটার স্যাভলন ক্রয় করা হয়েছে। এগুলো জনসংখ্যা অনুযায়ী ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে বিতরণ করা হয়েছে। ৩১ ওয়ার্ডে প্রায় ৮০০ জন কর্মী কাজ করবেন।
কেসিসির সিনিয়র ভেটেরিনারি সার্জন ডা. মো. রেজাউল করিম জানান, গত বছর নির্ধারিত স্থানে পশু কোরবানি হয়েছিল প্রায় ৪৫ শতাংশ। কোরবানিদাতাদের বাড়িতে পর্যাপ্ত জায়গা থাকলে তারা এসব স্থানে পশু নিয়ে আসে না। তাই কিছু স্থান ফাঁকা পড়ে থাকে।