বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপের প্রভাবে উপকূলের নদী ও খালের পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। এর ফলে বেড়েছে বাগেরহাটের রামপালের নদীর পানিও।
পানি বাড়ায় এ উপজেলার উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া মোংলা-ঘাষিয়াখালী আর্ন্তজাতিক নৌ চ্যানেলে স্বাভাবিকের তুলনায় প্রায় ২১ সেন্টিমিটার পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে নদীর সংযোগ খালগুলো দিয়ে ভিতরের নিচু এলাকায় পানি ঢুকে পড়েছে। ফলে তলিয়ে গেছে খালের পাড় ও রাস্তাঘাট। নদীর দুই পাড়ে খননকৃত বালুর বিশাল স্তুপ থাকায় নদীর পানিতে সংলগ্ন এলাকা প্লাবিত না হলেও খালের পানিতে প্লাবিত হয়েছে বিভিন্ন এলাকা।
উপজেলার পেড়িখালী ইউনিয়নের সিকিরডাঙ্গা গ্রামের কাটাখালের পানিতে আশপাশের বাড়ীঘর তলিয়ে গেছে। খালের পাশের রাস্তাটি কোমর সমান পানিতে তলিয়ে রয়েছে।
সিকিরডাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা হিমেল রাব্বী সোহান বলেন, জোয়ারের পানি বাড়ায় খাল আর রাস্তা বুঝাই যাচ্ছেনা। খালের পানি বাড়ায় এখানার কয়েকটি ঘেরের বাঁধ উপচে পানি ঢুকছে। কয়েক জায়গায় পানির চাপে ভাঙ্গনের উপক্রম হয়েছে। ঘের মালিকেরা লোকজন নিয়ে বাঁধ উচুর কাজ করছেন। এছাড়া গৌরম্ভা, হুড়কা, বাশতলী, কালিগঞ্জসহ বিভিন্ন এলাকা অস্বাভাবিক জোয়ারের পানিতে তলিয়ে গেছে। এতে ক্ষতির সম্মুখীন হয়ে পড়েছে চিংড়ি চাষীরা। বিশেষ করে খালের পাশের ঘেরগুলো রয়েছে বেশি ঝুঁকিতে।
বাগেরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী বিশ্বজিৎ বৈদ্য বলেন, একদিকে লঘুচাপ অপরদিকে পূর্ণিমার ভরা গোন তাই নদীর পানি স্বাভাবিকের চেয়ে প্রায় ২১ সেন্টিমিটার বেড়েছে। এর আগে শুক্রবার বেড়েছিল ১৫ সেন্টিমিটার। লঘুচাপ ও চলতি গোন ( তেজ কটাল) শেষ না হওয়া পর্যন্ত পানির এ চাপ আরো কয়েকদিন থাকার আশংকার কথা জানিয়েছেন তিনি।