সব কিছু
facebook channelkhulna.tv
খুলনা বুধবার , ১২ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ২৭শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
বঙ্গোপসাগর উত্তাল, নিরাপদ আশ্রয়ে শরণখোলার তিন শতাধিক ফিশিং ট্রলার | চ্যানেল খুলনা

বঙ্গোপসাগর উত্তাল, নিরাপদ আশ্রয়ে শরণখোলার তিন শতাধিক ফিশিং ট্রলার

মোঃ নাজমুল ইসলাম সবুজ :: বৈরী আবহাওয়ায় অশান্ত হয়ে উঠেছে বঙ্গোপসাগর। উত্তাল ঢেউয়ের আঘাতে জাল ফেলতে পারছে না জেলেরা। এ অবস্থায় চরমভাবে হতাশ হয়ে পড়েছেন বাগেরহাটের শরণখোলার জেলে-মহাজনরা। দীর্ঘ দুই মাসের (৬৫দিন) অবরোধ শেষে অনেক আশা নিয়ে রুপোলি ইলিশ ধরতে সাগরপানে ছুঁটে যায় জেলেরা। কিন্তু তাতে কোনো লাভ হয়নি। উল্টো লাখ লাখ টাকা লোকসান মাথায় নিয়ে ফিরতে হবে এই সামুদ্রিক মৎস্যজীবীদের।
অবরোধ উঠে যাওয়ার পর গত ২৩জুলাই মধ্যরাতে বৈরী আবহাওয়ার মধ্যে কিছু ট্রলার ঘাট থেকে সাগরের উদ্দেশে ছেড়ে যায়। কিন্তু উত্তাল ঢেউয়ে ওই সমস্ত ট্রলার সাগর পর্যন্ত পৌঁছাতে পারেনি। এর দুইদিন পরে আবহাওয়া কিছুটা স্বাভাবিক হওয়ায় আরো কিছু ট্রলার গিয়েও পড়ে বিপাকে। এমন পরিস্থিতিতে কিছু ট্রলার চার দিন এবং কিছু কিছু ট্রলার দুইদিন ধরে উপকূলের বিভিন্ন এলাকায় ফিরে এসেছে।
বর্তমানে শরণখোলার তিন শতাধিক ফিশিং ট্রলার উপকূলীয় বরগুনা জেলার মহিপুর, সখিনা এবং পূর্ব সুন্দরবনের শরণখোলা রেঞ্জের কচিখালী, মেহেরআলী ও ডিমের চর এলাকার বিভিন্ন খালে নিরাপদে অবস্থান করছে। মৎস্যজীবী সংগঠন এবং মৎ্যস্য ব্যবসায়ীরা এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। এছাড়া, মঙ্গলবার (২৭জুলাই) বেশকিছু ফিশিং ট্রলার শরণখোলার রাজৈর মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের ঘাটে অবস্থান করতে দেখা গেছে।
শরণখোলা উপজেলা মৎস্য আড়তদার সমিতির সভাপতি মো. দেলোয়ার হোসেন ফরাজী জানান, ইলিশ মৌসুমের শুরুতেই গত কয়েক বছর ধরে একের পর এক প্রাকৃতিক দুর্যোগে পড়ে জেলে-মহাজনরা নিঃস্ব হয়ে গেছে। তার ওপর ভরা মৌসুমেই ৬৫ দিনের অবরোধ এবং বর্তমানে করোনা ভাইরাসের কারণে আরো মার খাচ্ছে সামুদ্রিক মৎস্যখাত। এভাবে চলতে থাকলে লোকসানে পড়ে তাদের পথে বসা ছাড়া কোনো উপায় থাকবে না বলে হতাশা প্রকাশ করেন ওই মৎস্যজীবী নেতা।
বাগেরহাট জেলা ফিশিং ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি মো. আবুল হোসেন বলেন, অবরোধ শেষে সাগরে গিয়ে কোনো জেলে জাল ফেলতে পারেনি। সাগরে প্রচন্ড ঢেউ। এতে জাল ফেললে নিশ্চিত দুর্ঘটনা ঘটবে। তাই আমাদের উপজেলার তিন শতাধিক ট্রলার উপকূলীয় বিভিন্ন এলাকা ও সুন্দরবনের খালে নিরাপদ আশ্রয়ে রয়েছে।
জেলা ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি আবুল হোসেন আরো জানান, এক ট্রিপে (৮ থেকে ১০দিন) এককটি ট্রলার সাগরে পাঠাতে সব মিলিয়ে পাঁচ থেকে সাত লাখ টাকা খরচ হয়। এরই মধ্যে প্রায় চারদিন পার হয়ে গেছে। কিন্তু বৈরী আবহাওয়ার কারণে সাগরে জাল ফেলতে পারেনি জেলেরা। প্রথম ট্রিপে সবার সম্পূর্ণ চালানই লোকসান হবে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।

https://channelkhulna.tv/

বাগেরহাট আরও সংবাদ

ন্দরবন মহিলা কলেজের গরীব ও মেধাবীদের বৃত্তি প্রদান করলেন কৃষিবিদ শামীম

চিতলমারীতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহিদ ও আহতদের স্মরণে সভা

রামপালে কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের ৩১ দফার লিফলেট বিতরণ

ফকিরহাটে বীর মুক্তিযোদ্ধা বাবুল খাঁনকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন

রামপালে দেশব্যাপী ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের নৈরাজ্যের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ

ফকিরহাটে বিদ্যুতায়িত হয়ে কৃষকের মৃত্যু

চ্যানেল খুলনা মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন  
DMCA.com Protection Status
সম্পাদক: মো. হাসানুর রহমান তানজির
It’s An Sister Concern of Channel Khulna Media
© ২০১৮ - ২০২৪ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | চ্যানেল খুলনা.বাংলা, channelkhulna.com.bd
যোগাযোগঃ কেডিএ এপ্রোচ রোড (টেক্সটাইল মিল মোড়), নিউ মার্কেট, খুলনা।
প্রধান কার্যালয়ঃ ৫২/১, রোড- ২১৭, খালিশপুর, খুলনা।
ফোন- 09696-408030, 01704-408030, ই-মেইল: channelkhulnatv@gmail.com
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য অধিদফতরে অনলাইন নিউজ পোর্টাল নিবন্ধনের জন্য আবেদিত।