হেলেনা জাহাঙ্গীরকে গুলশানের নিজ বাসা থেকে গ্রেফতার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ন (র্যাব)।
তার বাসায় অভিযান চালিয়ে মাদক পাওয়া গেছে। আইসিটি আইনেও অপরাধের অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
বৃহস্পতিবার (২৯ জুলাই) রাত পৌনে ১২টার দিকে আওয়ামী লীগের উপকমিটির সদস্য পদ থেকে সম্প্রতি বহিষ্কৃত ‘বিতর্কিত’ নেতা হেলেনা জাহাঙ্গীরকে আটকের তথ্য নিশ্চিত করেছেন র্যাবের মুখপাত্র কমান্ডার খোন্দকার আল মঈন।
এর আগে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকেই গুলশানের হোটেল ওয়েস্টিনের পেছনে ৩৬ নম্বর রোডের ৫ নম্বর বাড়িটি ঘিরে রাখে র্যাব সদর দফতরের কয়েকটি দল। পরে রাত ৮টার দিকে হেলেনা জাহাঙ্গীরের বাসাটিতে অভিযান শুরু করা হয়।
হেলেনা জাহাঙ্গীর ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নারীবিষয়ক উপকমিটির সদস্য ছিলেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কর্মী-সমর্থক-অনুসারীদের নিয়ে যথেষ্ট সক্রিয় ছিলেন তিনি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ড সংগঠনের নীতির সঙ্গে সাংঘর্ষিক বলে অভিযোগ ওঠে। পরে আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক উপকমিটির সদস্য সচিব মেহের আফরোজ চুমকির সই করা এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে তাকে উপকমিটির সদস্যপদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
জানা গেছে, সম্প্রতি ফেসবুকে ‘বাংলাদেশ আওয়ামী চাকরিজীবী লীগ’ নামের একটি সংগঠনের সভাপতি হিসেবে হেলেনা জাহাঙ্গীর নিজেকে পরিচয় দিতেন। তবে আওয়ামী লীগ নেতারা বলছেন, সংগঠনটির সঙ্গে আওয়ামী লীগের কোনো সম্পর্ক নেই। এছাড়া জয়যাত্রা গ্রুপের কর্ণধার হেলেনা জাহাঙ্গীর নিজেকে আইপি টিভি ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সভাপতি হিসেবেও পরিচয় দিয়ে থাকেন।