দীর্ঘ দিন পর ভারত থেকে বাংলাদেশে হলদিবাড়ি-চিলাহাটি রেলপথ দিয়ে পন্য পরিবহন শুরু হয়েছে।
রোববার (১ আগস্ট) থেকে এই পথে নিয়মিত মালবাহী ট্রেন চলাচল শুরু করেছে। ভারতীয় রেলওয়ে আজ উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের ডামডিম স্টেশন থেকে পাথর বোঝাই প্রথম মালবাহী ট্রেন বাংলাদেশে প্রেরণ করেছে।
ভারতীয় হাই কমিশন সূত্র জানায়, ১৯৪৭ সালে দেশভাগের পর ভারত ও তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের মধ্যে (১৯৬৫ পর্যন্ত) সাতটি রেল সংযোগ চালু ছিল। বর্তমানে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে চারটি রেল সংযোগ চালু রয়েছে। এগুলো হলো- পেট্রাপোল (ভারত) – বেনাপোল (বাংলাদেশ), গেদে (ভারত) – দর্শনা (বাংলাদেশ), সিংহাবাদ (ভারত)-রহনপুর (বাংলাদেশ), রাধিকাপুর (ভারত) – বিরল (বাংলাদেশ)। হলদিবাড়ি-চিলাহাটি রেল সংযোগ এমনই একটি রুট যা ১৯৬৫ সাল পর্যন্ত কার্যকর ছিল।
ভারত ও বাংলাদেশ দুই প্রধানমন্ত্রীই উভয় দেশের মধ্যে ১৯৬৫ সাল পূর্ববর্তী সমস্ত রেল সংযোগ পুনরায় কার্যকর করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এ কারণে, রেল সংযোগটিকে পুনঃস্থাপিত করার কাজ হাতে নেয় উভয় দেশের রেলপথ মন্ত্রণালয়। পুনঃস্থাপনের পর, ২০২০ সালের ১৭ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী পর্যায়ের ভার্চুয়াল দ্বিপাক্ষিক শীর্ষ সম্মেলনের সময় ভারত ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীরা যৌথভাবে হলদিবাড়ি (ভারত) এবং চিলাহাটি (বাংলাদেশ) রেল সংযোগটি উদ্বোধন করেছিলেন।
হলদিবাড়ি-চিলাহাটি রেল সংযোগটি ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যকার ৫ম রেল সংযোগ যা ২০২১ সালের ১ আগস্ট থেকে কার্যকর হচ্ছে। এই রেলপথ দিয়ে ভারত থেকে বাংলাদেশে রপ্তানিযোগ্য পণ্যের মধ্যে রয়েছে পাথর ও বোল্ডার, খাদ্যশস্য, তাজা ফল, রাসায়নিক সার, পেঁয়াজ, মরিচ, রসুন, আদা, ফ্লাই অ্যাশ, ক্লে, চুনাপাথর, কাঠ ও টিম্বার ইত্যাদি। বাংলাদেশ থেকে ভারতে সকল রপ্তানিযোগ্য পণ্যই অনুমোদিত।
চালু হওয়া এই রেল সংযোগ ভারত-বাংলাদেশ রেল যোগাযোগ এবং দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যকে শক্তিশালী করবে। এটি আঞ্চলিক বাণিজ্য সম্প্রসারণ ও এ অঞ্চলের অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নকে গতিশীল করতে প্রধান বন্দর ও স্থল বন্দরগুলিতে রেল নেটওয়ার্কের প্রবেশাধিকার বৃদ্ধি করবে।