খুলনা-৪ আসনের সংসদ সদস্য আব্দুস সালাম মূর্শেদী বলেছেন, শেখ কামাল ছিলেন একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা, ক্রীড়া সংগঠক ও যুব সমাজের আইকন। তাই সকল পর্যায়ের যুবলীগের নেতাকর্মীকে তাকে অনুসরণ করা উচিত।
তিনি আরও বলেন, যুবলীগ একটি শক্তিশালী ও কর্মঠ সংগঠন। যুবলীগ দেশের গুরুত্বপূর্ণ সময়ে তাদের কর্মকান্ড পরিচালনা করে থাকে। করোনাকালীন সময়েও যুবলীগের সাহায্য সহযোগিতা অব্যাহত রয়েছে। তাই যুবলীগের সর্বস্তরের নেতাকর্মীকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। বৃহস্পতিবার দুপুরে রূপসা উপজেলা যুবলীগ আয়োজিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব এর জ্যেষ্ঠ পুত্র মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের ৭২ তম জন্মদিন উপলক্ষে দুঃস্থদের মাঝে খাবার বিতরণকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
রূপসা উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক এবিএম কামরুজ্জামানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন রূপসা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মোঃ কামাল উদ্দীন বাদশা।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আয়ূব মল্লিক বাবু, খান শাহাজান কবীর প্যারিস, সৈয়দ মোর্শেদুল আলম বাবু, শ্রীফলতলা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্ব ইসহাক সরদার, আওয়ামী লীগ নেতা স,ম জাহাঙ্গীর, বিনয় কৃষ্ণ হালদার, জেলা যুবলীগ নেতা হারুনার রশীদ, নাসির হোসেন সজল, ব্রজেন দাস, প্রদীপ বিশ্বাস, আশিষ রায়, যুবলীগ নেতা বাদশা মিয়া, সাইদুজ্জামান ছগির,এমপির প্রধান সমন্বয়ক ও যুবলীগ নেতা মোঃ নোমান ওসমান রিচি, সরদার জসীম উদ্দীন, সুব্রত বাগচী, আঃ মজিদ শেখ, শামীম হাসান লিটন, খান জাহিদ হাসান, শাহনেওয়াজ কবীর টিংকু, রতন মন্ডল, শারাফাত হোসেন উজ্জল, মোস্তাফিজুর রহমান হেলাল, শফিকুর রহমান ইমন, মেজবাবুর রহমান, আবুল কালাম আজাদ, মৃনাল সরকার, তারেক আজিজ, রউফ শিকদার, মিলন মোল্যা, রবিউল ইসলাম, আঃ রশিদ, মহিউদ্দিন মানিক, সাইফুল ইসলাম শাওন, কৃষ্ণ কুমার শীল, এহতেশামুল হক অপু, মইনুল ইসলাম নিয়ন, মহিউদ্দীন খান প্রিতম, বাপ্পা রাজ, রাকিবুল ইসলাম রকি, জিল্লু শেখ, জাহিদ শেখ, জ্যাকি ইসলাম সজল, ছাত্রনেতা খায়রুজ্জামান সজল , সারিরুল ইসলাম হিমেল, রাহাত আমিন প্রমূখ।
এদিকে বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে কালিমালিপ্ত অধ্যায় ৭৫ এর ১৫ আগস্ট বলে মন্তব্য করেছেন খুলনা-৪ আসনের সংসদ সদস্য আব্দুস সালাম মূর্শেদী। বৃহস্পতিবার সকালে শহীদ শেখ কামালের ৭২তম জন্মবার্ষিকীতে রূপসা, তেরখাদা ও দিঘলিয়া উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে এক আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় তিনি বলেন, শেখ কামাল বহুমুখী সৃজনশীল প্রতিভার অধিকারী ও লাখ-কোটি তরুণের দীপ্ত-প্রজ্বলিত শিখা।
তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশের আধুনিক ক্রীড়াঙ্গনের স্বপদ্রষ্টা ছিলেন তিনি। ফুটবলে রীতিমতো বিপ্লব সৃষ্টি করেছিলেন শেখ কামাল। দূরদর্শিতা আর আধুনিকতার অপূর্ব সমন্বয়ে তোলপাড় সৃষ্টি করলেন গোটা উপমহাদেশে। ১৯৭৩ সালে আবাহনীর জন্য বিদেশী কোচ বিল হার্ট কে এনে ফুটবল প্রেমিকদের তাক লাগিয়ে দিয়েছিলেন! তখন ক্লাব তো দুরের কথা, এই উপমহাদেশে জাতীয় দলের কোনো বিদেশী কোচ ছিলনা। তিনি ছিলেন খুবই উদার মনের। সংগঠক হলেও খেলোয়াড় পরিচয়টাই তার কাছে মূখ্য ছিলো।
তিনি বলেন, শহীদ শেখ কামাল এর ৭২তম জন্মবার্ষিকীতে জানাই বিনম্র শ্রদ্ধা।
রূপসা উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা রুবাইয়া তাছনিম এর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিন বাদশা, সহকারী কমিশার ভূমি খান মাসুম বিল্লাহ, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ফারহানা আফরোজ মনা, যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা আবু বকর মোল্লার সঞ্চালনায় বক্তৃতা করেন কৃষি কর্মকর্তা মো:ফরিদুজ্জামান, মেডিকেল অফিসার আর এম ও সঙ্গিতা চৌধুরী, উপজেলা প্রকৌশলী এস এম ওয়াহিদুজ্জামান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি সৈয়দ মোরশেদুল আলম বাবু, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সদস্য আ:মজিদ ফকির, সমাজসেবা কর্মকর্তা জেসিয়া জামান, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা তাহিরা খাতুন, সহকারী মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা গোলাম মোস্তফা, বন কর্মকর্তা মো:মুজিবর রহমান, ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ খান মারুফুল হক, এস আই রজত, উপজেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আ: রাজ্জাক শেখ, সাংবাদিক আইয়ুব আলী প্রমূখ।
দিঘলিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মাবুবুল আলম এর সভাপতিত্বে এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান শেখ মারুফুল ইসলাম, উপজেলা আওয়ামী লীগ এর সাধারন সম্পাদক ও জেলা পরিষদ সদস্য মোল্লা আকরাম হোসেন, উপজেলা সহকারী কমিশনার ভুমি মোঃ আলিমুজ্জামান মিলন, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মহিলা মমতাজ শিরিন ময়না, সদর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ এর সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) শেখ আনছার আলী, উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি হাবিবুর রহমান তারেক, উপজেলা মাধমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ মাহফুজুর রহমান, উপজেলা শিক্ষা অফিসার শাহনাজ বেগম, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা বিপাশা তনু, জনস্বাস্থ্য কর্মকর্তা বিপ্রকাশ ঢালী, যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান, মৎস্য কর্মকর্তা মুন্জুরুল আলম, পরিসংখ্যান অফিসার শাহরিয়ার রেজা, ইউ আরসি ইন্সটেক্টর গুলশান আরা বেগম, উপজেলা সহকারী প্রোগ্রামার শমীর বিশ্বাস, পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক ম্যানেজার জয়ন্ত কুমার, দারিদ্র্য বিমোচন অফিসার বিলকিস জোয়ার্দার, এস আই তন্ময় সহ সুধীজন উপস্থিত ছিলেন।
তেরখাদা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবিদা সুলতানার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত স্মৃতিচারণ ও দোয়া মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ শহিদুল ইসলাম, ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ শারাফত হোসেন মুক্তি, উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা প্রদীপ কুমার দাশ, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো:সোহেল রানা, উপজেলা প্রকৌশলী খালিদ ইবনে হাসান, থানার এস আই মাজরিহা হুসাইন, উপজেলা মুক্তিযুদ্ধের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার চৌধুরী আবুল খায়ের সহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা কর্মচারী প্রমূখ।
দোয়া পরিচালনা করেন ইখড়ি দাখিল মাদ্রাসার সহকারি সুপার মাওলানা মাহাবুর রহমান।-খবর বিজ্ঞপ্তি