আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানে গ্রেফতার হওয়া কথিত মডেলদের সঙ্গে সমাজের বিশিষ্টজনদের নাম জড়িয়ে একটি চক্র চাঁদাবাজি করছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার শফিকুল ইসলাম।
তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত তিনজন বিশিষ্ট ব্যক্তি এই ধরনের চাঁদাবাজির শিকার হওয়ার কথা পুলিশকে জানিয়েছেন। তারা ফোন করে জানিয়েছেন- তারা আতঙ্কিত।
আজ সোমবার (০৯ আগস্ট) নিজের কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি একথা জানান।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, মডেল ইস্যুতে তাদের সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে এমন ব্যক্তিদের তালিকার কথা বলে একটি চক্র চাঁদাবাজিতে নেমেছে। এই চক্রটি সমাজের বিশিষ্টজনদের কাছে ফোন করে তালিকার তাদের নাম থাকার কথা বলে চাঁদা দাবি করছে। এমনকি একজন ব্যবসায়ীর কাছে চাঁদা চেয়ে চিঠি দেওয়ার ঘটনাও ঘটেছে। চাঁদা না দিলে গণমাধ্যমে তার নাম প্রকাশ করার হুমকি দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, এই চক্রটি কথিত ভিডিওর কথা তাদের বিশিষ্টজনদের ব্ল্যাকমেইল করার চেষ্টা করছে। কিন্তু পুলিশ এ ধরনের কোনো তালিকা করেনি। এমন তালিকার কথা বলে যারা বাণিজ্যে নেমেছে তাদের বিরুদ্ধে পুলিশ আইনগত ব্যবস্থা নেবে।
শফিকুল ইসলাম বলেন, মডেল-অভিনেত্রী গ্রেফতারের পর ব্যবসায়ীদের মধ্যে এক ধরনের আতঙ্ক ছড়িয়েছে। আমরা চাই না করোনাকালে এমন আতঙ্ক ছড়াক এবং বিনা কারণে কারো সম্মানহানি ঘটুক। কেউ যাতে মিডিয়া ট্রায়ালের শিকার না হন সে জন্য সকলকে দায়িত্ব নিয়ে কাজ করতে হবে।
তিনি বলেন, যারা ইতোমধ্যে গ্রেফতার হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট কিছু আইনে মামলা হয়েছে। সেই মামলাগুলোই তদন্ত করছে পুলিশ।
ডিএমপি কমিশনার অনুরোধ করেন, যদি ব্যবসায়ী মহলের কারো কাছে বা সমাজের কোনো নাগরিকের কাছে এমন তালিকার কথা বলে চাঁদা চেয়ে কেউ ফোন করে তাহলে সঙ্গে সঙ্গে যাতে তারা বিষয়টি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে জানান এবং অডিও বা ভিডিও থাকলে তা যেন তদন্তের স্বার্থে সংরক্ষণ করে রাখেন।