সুনামগঞ্জের শাল্লায় সাম্প্রদায়িক নিপিড়নের শিকার ও নিবর্তনমূলক ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গ্রেফতার ঝুমন দাসের মুক্তির দাবিতে রাজধানীর শাহবাগে প্রতিবাদী সাংস্কৃতিক সমাবেশ করেছে বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী। বুধবার বিকাল সাড়ে ৪টায় অনুষ্ঠিত এ সমাবেশ থেকে অবিলম্বে ঝুমন দাসের মুক্তি ও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল চেয়েছে বক্তারা। সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন ঝুমন দাসের স্ত্রী সুইটি দাস। পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি ঝুমন দাসের মুক্তি দাবি কওে তিনি কান্নায় ভেঙে পড়েন। জানান, ঝুমন দাস ষড়যন্ত্রের শিকার। কোনো অন্যায় না করেও আজ সে কারান্তরীণ। তাকে জেলে রাখা মানে তার পরিবারকে সর্বশান্ত করে দেওয়া। উদীচীর সাধারণ সম্পাদক জামসেদ আনোয়ার তপনের সভাপতিত্বে এবং সহ-সাধারণ সম্পাদক সঙ্গীতা ইমামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে সংহতি প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন সিপিবি’র প্রেসিডিয়াম সদস্য কাফি রতন, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সহ-সভাপতি কাজল দেবনাথ, লেখক ও আইনজীবী ইমতিয়াজ মাহমুদ, উদীচী ঢাকা মহানগর সংসদের সাধারণ সম্পাদক ইকবালুল হক খান, কেন্দ্রীয় সংসদের সদস্য একরাম হোসেন, ছাত্র ইউনিয়নের সহসভাপতি অনিক রায়, যুব ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক খান আসাদুজ্জামান মাসুম, সাবেক ছাত্রনেতা, গণজাগরণ মঞ্চের সংগঠক আকরামুল হক, সাংবাদিক ও গণজাগরণ মঞ্চের সংগঠক এফ এম শাহীন। বক্তারা সাম্প্রদায়িক অপশক্তির ষড়যন্ত্রের বিুরদ্ধে জনজাগরণ গড়ে তোলার আহ্বান জানান। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বাংলাদেশকে সমুন্নত রাখতে মুক্তিযুদ্ধের আকাক্সক্ষার বাংলাদেশ বিনির্মাণ, বাহাত্তরের সংবিধান পুনঃপ্রতিষ্ঠা, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা সুনিশ্চিতকরণ, আহত ও ভঙ্গুর গণতন্ত্র পুনরোদ্ধারে সর্বস্তরের মানুষের ঐক্যবদ্ধ সংগ্রামের বিকল্প ননেই বলে মনে করেন বক্তারা। এদিকে শুধু ঢাকা নয়, চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ, ঠাকুরগাঁও, যশোর, বগুড়া, শেরপুর, শাল্লা, দিরাই, শান্তিগঞ্জ, নেত্রকোনা, সিলেট, সুনামগঞ্জ, বরিশালসহ দেশের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা পর্যায়েও একই দাবিতে প্রতিবাদী সাংস্কৃতিক সমাবেশ করেছে উদীচী। রাজধানীর শাহবাগে কেন্দ্রীয় সমাবেশশুরু হয় কেন্দ্রীয় উদীচী’র সংগীত বিভাগের দুটি সমবেত সংগীত এর মধ্যদিয়ে। “বিচারপতি তোমার বিচার কবে যারা আজ জেগেছে এই জনতা”, “মানবনা এই বন্ধনে, মানবনা এই শৃঙ্খলে” এই গান দু’টি তারা পরিবেশন করে। গান পরিবেশন করে চারণ সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের শোভন রহমান ও ঋষিজ শিল্পী গোষ্ঠীর মিজানুর রহমান বুলবুল। প্রাচ্যনাট পরিবেশন করে নাটক “মোড়ল পুলিশিং”। থিয়েটার ৫২ পরিবেশন করে নাটক “একটি সাহসী ফুল দেখা যায়” , রচনা ও নির্দেশনা মিজানুর রহমান মিজান। বটতলা পরিবেশন করে নাটক “রাতের রানী” , রচনা ও নির্দেশনা কাজী রোকসানা রুমা। আবৃত্তি পরিবেশন করেন মিজানুর রহমান সুমন।