পুলিশ ও এলাকাবাসীর কাছ থেকে জানা যায়, আজ সাড়ে ১২ টায় সেনহাটী পুলিশ ক্যাম্পের সামনে সেনহাটী ইউপি নির্বাচনে আওয়ামীলীগের মনোনীত প্রার্থী ফারহানা হালিম ও আঃলীগের বিদ্রোহী ও বহিস্কৃত প্রার্থী গাজী জিয়াউর রহমান ওরফে জিয়া গাজী পাশাপাশি নির্বাচনী জনসংযোগ করছিল।এ সময়ে ফারাহনা হালিমের কর্মীদের সাথে জিয়া গাজীর কর্মীদের বাকবিতন্ড থেকে হাতাহাতি হলে জিয়া গাজীর কর্মী হিটলার (৩২) গুরুতর আহত হয়।এ ঘটনার কিছুক্ষণ পর জিয়া গাজী তার কর্মী সমর্থক নিয়ে নির্বাচনী প্রচারণার জন্য পুলিশ ফাঁড়ির কাছে অবস্হান করছিল। এসময় চন্দনীমহল স্টার ২ নং গেট থেকে সেনহাটীর উদ্দেশ্যে মোটরসাইকেল যোগে ফারহানা হালিম এর সমর্থক ও প্রাক্তন দিঘলিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান মল্লিক মহিউদ্দিন এর পুত্র মল্লিক মিজানুর রহমান ওরফে মিজান মল্লিক (৪৫), দিঘলিয়া থানা ছাত্রদলের আহবায়ক গাজী মনিরুল ইসলাম (৩৫) ও বাবু গাজী (৩০)যাওয়ার সময় সেনহাটী পুলিশ ফাঁড়ির সামনে জিয়া গাজীর সমর্থকরা তাঁদের উপর হামলা চালিয়ে মারাত্মক জখম করে।
এলাকাবাসি জানায়, দিঘলিয়া থানা ছাত্রদলের আহবায়ক গাজী মনিরুল ইসলাম ও তার ছোট ভাই বাবু গাজী নৌকার প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচনী প্রচারনা করতে গিয়ে নৌকার বিদ্রোহী প্রার্থীর সমর্থকদের হাতে জখম হয়।
এ সময় ফারহানা হালিমের আরো একজন সমর্থক তাসের গোলদার (৫৫) ও আক্রমণের শিকার হন।পরে ফারহানা হালিমের সমার্থকরা জিয়া গাজীর আর এক সমার্থক ষ্টার ২ নং গেট বাজারের দোকানদার মুনসুর (৫০) এর উপর হামলা চালিয়ে তাকে আহত করে। আহতদের প্রথমে দিঘলিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাঁদেরকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। খবর পেয়ে ফরহানা হালিম আহতদের দেখতে উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ছুঁটে যান।
এ ঘটনা নিয়ে এলাকায় দুই পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। পরিস্থিতি মোকাবেলায় এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে ও পুলিশি টহল জোরদার করা হয়েছে। দিঘলিয়া থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ আহসানউল্লাহ চৌধূরী ও ওসি তদন্ত রিপন কুমার সরকার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত থানায় কোন মামলা হয়নি। তবে এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।