স্ত্রীকে যৌতুকের দাবিতে নির্যাতনকারী সিআইডি ঢাকা মালিবাগের সাইবার জোনে কর্মরত সাব-ইন্সপেক্টর খুলনার ডুমুরিয়া থানাধীন বান্দার গ্রামের অমলেন্দু রায়ের পুত্র মিঠুন রায়কে (৩৩) তার স্ত্রীর দায়ের করা নারী ও শিশু ৬৬/২১ নম্বর মামলায় বুধবার (২২ সেপ্টেম্বর) আত্মসমার্পন করে জামিন আবেদন করলে খুলনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল-১ এর বিচারক দিলরুবা আক্তার তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে জেল হাজতে প্রেরণ করেন। বাদী পক্ষের আইনজীবী ছিলেন, পিপি অলকানন্দ দাস ও এ্যাড. ড. মো: জাকির হোসেন এবং আসামি পক্ষে আইনজীবী ছিলেন সেলিনা আক্তার পিয়া। ঘটনার বিবরণে বলা হয়, খুলনার বটিয়াঘাটা দেবীতলা গ্রামের দেবদাস বিশ্বাসের কন্যা তিথী বিশ্বাস (২৫) খুলনার বয়রা সরকারি মহিলা কলেজের ইতিহাস বিভাগের মাস্টার্সের ছাত্রী। মিঠুন রায়ের সাথে ২০১৫ সালে এক বিয়ের অনুষ্ঠানে তাদের পরিচয় হয়। এরপর প্রেম থেকে সম্পর্ক হয়। ২০১৯ সালে নোটারী পাবলিকের মাধ্যমে গোপনে বিয়ে করে স্বামী-স্ত্রী’র ন্যায় বিভিন্ন স্থানে বাসা ভাড়া করে থাকে। পরবর্তীতে তাকে বাড়িতে স্ত্রী হিসেবে তুলে নেয়ার জন্য দুই বিঘা জমি, দশ ভরী স্বর্ণ ও বিশ লক্ষ টাকা যৌতুক দাবি করে এবং এর জন্য মিঠুন রায় তাকে মারধর করে। তিথী বিশ্বাস নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল-১ খুলনায় মিঠুন রায়ের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা করেন। উক্ত মামলায় বুধবার (২২ সেপ্টেম্বর) মিঠুন রায় আদালতে আত্মসমার্পন করলে উভয় পক্ষের শুনানি শেষে ট্রাইবুনালের বিচারক সিআইডি’র উক্ত কর্মকর্তা মিঠুন রায়কে জেল হাজতে প্রেরণ করেন।
উল্লেখ্য, খুলনার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মিঠুন রায়ের বিরুদ্ধে যৌতুক নিরোধ আইনে ৬৯সি/২০ এবং পারিবারিক জজ আদালতে ৩২/২০ নম্বর মামলা বিচারাধীন রয়েছে। এসব মামলা হওয়ার কারণে উক্ত মামলা তুলে নিতে মিঠুন রায় পুুলিশের ক্ষমতা অপব্যবহার করে বাদী পরিবারকে নানা রকম ভয়ভীতি প্রদর্শণ করছে এবং সামাজিকভাবে পরিবারটিকে একঘোরে করে রাখেছে।