আধা কেজির একটি ইলিশের দাম ৭শ’ টাকা। আর কেজি ওজনের ইলিশ ১৩শ’ থেকে ১৪শ’ টাকা। ভরা মৌসুমে ইলিশের চরা দামে হতাশ ক্রেতারা। মাছ ব্যবসায়ীরা বলছেন রপ্তানির কারণে বাজারে ইলিশের সরবরাহ কম। ফলে বেড়েছে দাম।
খুলনার বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ৫শ’ গ্রাম সাইজের ইলিশ ৭শ’ থেকে ৮শ’ টাকা আর ১ কেজি ওজনের ইলিশ দাম ১৩শ’ থেকে ১৪শ’ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে ভারতে ইলিশ রপ্তানি শুরু হয়েছে। আর তাতেই বাংলাদেশের বাজারে ইলিশের দাম বেড়ে গেছে। বিক্রেতারা বলছেন সামনের মাসে ইলিশ ধরা বন্ধ হবে। ফলে দাম বাড়ায় দ্বিগুণ প্রভাব পড়ছে। ইলিশচলে যাচ্ছে সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে।
উল্লেখ্য, কোলকাতার বাজারে গত বৃহস্পতিবারই উঠেছে বাংলাদেশের ইলিশ। বুধবার রাতেই বেনাপোল দিয়ে ইলিশের চালান ভারতে যায়। হাওড়াসহ পাইকারি বাজার হয়ে সেই ইলিশ এখন কোলকাতার বাজারে। আগামী ১০ অক্টোবর পর্যন্ত এই ইলিশ রপ্তানি চলবে। পূজা উপলক্ষে মোট দুই হাজার ৮০ মেট্রিক টন ইলিশ ভারতে রপ্তানি হবে।
ইলিশ রপ্তানি হচ্ছে বাংলাদেশের বেনাপোল স্থল বন্দর থেকে। ৫২ জন রপ্তানিকারক এই রপ্তানির অনুমতি পেয়েছেন। প্রত্যেক রপ্তানিকারক ৪০ টন করে রপ্তানি করতে পারবেন। সূত্র জানায়, প্রথম চালানে ৭৮ টনের বেশি ইলিশ পাঠানো হয়েছে ভারতে। আগামী ১০ অক্টোবর পর্যন্ত ইলিশ রপ্তানি করতে পারবেন। চুক্তি অনুযায়ী প্রতি কেজি ইলিশ তারা ১০ ডলারে রপ্তানি করছেন। বাংলাদেশ থেকে প্রধানত হাওড়া, শিয়ালদা ও পাটিয়াপুকুর পাইকারি বাজারে ইলিশ যায়। সেখান থেকে কোলকাতাসহ ভারতের বিভিন্ন খুচরা বাজারে ইলিশ বিক্রি হয়।
নগরীর নিউমার্কেটের এক মাছ বিক্রেতা জানান, এলসির কারণে ইলিশের দাম বেড়ে গেছে। মোকাম থেকে ৮শ’ থেকে ৯শ’ গ্রাম সাইজের ইলিশ ৫০ হাজার টাকায় মণ ক্রয় করেছেন তিনি। যা গত বছরের তুলনায় অনেক বেশী। দাম শুনে অনেকেই মাছ কিনতে চাচ্ছে না। মোকামে এলসি ব্যবসায়ীরা উচ্চমূল্যে মাছ ক্রয় করছেন। গত দু’দিন আগেও মাছের দাম কমছিল। কিন্তু প্রতিবেশী দেশে মাছ রপ্তানির খবরে বাজার চড়া।
খালিশপুরের সান্ধ্য বাজারের ইলিশ ব্যবসায়ী মিরাজ জানান, এবার ইলিশের সরবরাহ অনেক কম। তারপরে ভারতে মাছ রপ্তানি করা হচ্ছে। রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানের নিয়োজিত সদস্যরা মোকাম থেকে মাছ ক্রয় করছে বেশী দামে। তারা এক কেজির ওপরে মাছ ১ হাজার ৪শ’ টাকায় ক্রয় করছেন। যে কারণে তাকেও বেশী দরে মাছ কিনতে হয়েছে। গত বছরে এ সময়ে ইলিশ মাছের আমদানি অনেক বেশি ছিল, দামও ছিল কম। ওই সময়ে ধনী-গরীব সকলে মাছ কিনে খেয়েছিল, কিন্তু এ বছর চিত্র ভিন্ন। অনেকে ইলিশ দেখে ফিরে যাচ্ছেন।