এখন থেকে যশোরে ছাপা হবে ই-পাসপোর্ট। খুলনা বিভাগের ১০ জেলা এ অফিসের আওতাভূক্ত হবে। ছাপার জন্য তাদেরকে আর পাসপোর্ট সংক্রান্ত নথি-পত্র ঢাকায় পাঠাতে হবে না।
রবিবার (৩ অক্টোবর) বিভাগীয় এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করবেন ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আইয়ুব চৌধুরী।
যশোর পাসপোর্ট অফিস সূত্রে জানা যায়, ২০২০ সালের জুন মাস নাগাদ দেশে মেশিন রিডেবল পাসপোর্টের কার্যক্রম শেষ হয়ে যায়। এরপর বাংলাদেশ ই-পাসপোর্টের ডিজিটাল যুগে প্রবেশ করে। বিশ্বের ১২০টি দেশে বর্তমানে ইলেক্ট্রনিক্স পাসপোর্টের কার্যক্রম চলমান।
ই-পাসপোর্ট ও স্বয়ংক্রিয় বর্ডার নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের আওতায় ২০২০ সালের ২৮ জুন যশোর অফিসে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়। ই-পাসপোর্ট হলো একটি বায়োমেট্রিক পাসপোর্ট যাতে এমবেডেড ইলেট্রনিক্স মাইক্রোপ্রসেসর চিপ রয়েছে। এ চিপের মধ্যে রয়েছে বায়োমেট্রিক তথ্য যা পাসপোর্টধারীর পরিচয় প্রমাণের জন্য ব্যবহার করা যায়।
এতে রয়েছে ব্যবহারকারীর ছবি, দশ আঙ্গুলের ছাপ, চোখের আইরিশসহ তার ব্যক্তিগত ও পারিবারিক যাবতীয় তথ্য। যার মাধ্যমে পাসপোর্টধারীকে সহজে শনাক্ত করা যায়। এ কারণে পাসপোর্ট জালিয়াতির কোন সুযোগ নেই।
আর নতুন ই-পাসপোর্ট বা নবায়নের আবেদন, টাকা জমাসহ এ সংক্রান্ত সকল কার্যক্রম ডিজিটাল পদ্ধতিতে অনলাইনে পরিচালিত হচ্ছে। এ কাজে হাতে লেখা কাগজের কোন ব্যবহার নেই বললেই চলে।
সূত্র জানায়, ২০২০ সালের ২৮ জুন যশোরে ই-পাসপোর্টের কার্যক্রম শুরু হওয়ার পর থেকে বিগত দিনের মতই ঢাকা থেকে পাসপোর্ট ছেপে যশোরে পাঠানো হতো। এরপর যশোর অফিস থেকে সেগুলো বিলি করা হোত। এছাড়া আবেদনকারির ডিএসবি তদন্তসহ অন্যান্য কাজ যশোর অফিসের মাধ্যমেই হতো। কিন্তু এবার ঢাকা থেকে ছাপানো যুগের অবসান হচ্ছে।
এর মাধ্যমে যশোরসহ বিভাগের দশ জেলার অফিসের পাসপোর্ট ছাপানোর জন্য নথিপত্র আর ঢাকায় পাঠাতে হবে না। পাসপোর্ট ছাপার এ কাজটি যশোর অফিসেই হবে। এ কারণে দ্রুততম সময়েই এ অঞ্চলের মানুষ তাদের পাসপোর্ট হাতে পাবেন। এ কাজে আবেদনকারীর থাকবে না দীর্ঘদিনের অপেক্ষার পালা ও বাড়তি কোন জটিলতা। মানুষ সহজেই অফিসে গিয়ে তাদের পাসপোর্ট সংক্রান্ত সকল তথ্য জানতে পারবেন। যদিও বর্তমানে অনলাইনে তথ্য জানার কাজটি চালু রয়েছে বলে অফিসের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
এ ব্যাপারে যশোর পাসপোর্ট অফিসের উপ পরিচালক মোহাম্মদ নূরুল হুদার একান্ত সহকারী আব্দুর রাজ্জাক বলেন, রবিবার থেকে যশোর পাসপোর্ট অফিসে ছাপা সংক্রান্ত বিভাগীয় কার্যক্রম শুরু হবে। এদিন থেকেই বিভাগের দশটি জেলার পাসপোর্ট যশোর থেকে ছাপানো হবে।