চ্যানেল খুলনা ডেস্কঃ চাঁদপুরের মতলব পৌরসভার পূর্বকলাদী জামে মসজিদের ইমামের কক্ষ থেকে তিন শিশুর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার জুমার নামাজের পর মরদেহগুলো উদ্ধার করা হয়। নিহতদের মধ্যে ওই মসজিদের ইমাম জামাল উদ্দিনের ছেলেও রয়েছে।
নিহতরা হচ্ছে- পূর্বকলাদী জামে মসজিদের ইমাম জামাল উদ্দিনের ছেলে আব্দুল্লাহ আল নোমান (৮), মতলব পৌরসভার নলুয়া গ্রামের জসিম উদ্দিনের ছেলে মো. রিফাত (১০) ও দশপাড়া গ্রামের আফসার উদ্দিনের ইব্রাহিম খলিল (১২)। রিফাত ও ইব্রাহিম মতলব পৌরসভার ভাঙ্গাপাড় মাদরাসার ৩য় ও ৪র্থ শ্রেণির ছাত্র।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, দুপরে ওই মসজিদের ইমাম জামাল উদ্দিন তার ছেলে আব্দুল্লাহ আল নোমানকে রেখে জুমার নামাজ পড়াতে যান। মসজিদ সংলগ্ন ইমামের কক্ষে নোমানের সঙ্গে আরও দুই শিশু প্রবেশ করে। নামাজ শেষে ইমাম রুমটি ভেতর থেকে আটকানো দেখতে পান। অনেক ডাকাডাকির পর দরজা না খোলায় মুসল্লি শাহীন সরকার, সাইফুল, সুমন মোস্তফাসহ একাধিক ব্যক্তি দরজা ভেঙে রুমের মধ্যে তিন শিশুকে অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। এদের মধ্যে দুইজন রুমেই মারা গেছে। একজনকে মতলব হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর ডাক্তার তাকেও মৃত ঘোষণা করেন।
ইমাম জামাল উদ্দিন বলেন, জুমার নামাজের আগে বেলা পৌনে ১টার সময় আমি বয়ান ও খুতবার জন্য মিম্বরের দিকে যাই। নামাজ পড়ানো শেষে মসজিদে মিলাদ পড়িয়ে নিজের রুমে ফিরে আসি। ওই সময় আমার রুমের দরজা ভেতর থেকে আটকানো দেখে অনেক ধাক্কাধাক্কি করি। পরে মুসল্লিদের সহায়তায় দরজা ভেঙে দেখি আমার ছেলেসহ অপর দুই শিশু বিছানায় পড়ে আছে।
স্থানীয়রা জানান, দুই মাস আগে পূর্বকলাদী জামে মসজিদের ইমাম হিসেবে জামাল উদ্দিনকে নিয়োগ দেয়া হয়। সেই থেকে তার শিশু সন্তান আব্দুল্লাহ আল নোমানকে নিয়ে তিনি ওই কক্ষে বসবাস করতেন। এক মাস আগে মসজিদ সংলগ্ন মুক্তা ভিলায় তিনি বাসা ভাড়া নেন। তাদের বাড়ি বরগুনার কালাই মুদাফাত গ্রামে। এর আগে তিনি চাঁদপুর শহরের কোড়ালিয়া রোড মসজিদে ইমামতি করতেন।
মতলব দক্ষিণ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) স্বপন কুমার আইচ জানান, তিন শিশুর মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চাঁদপুর মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। তবে তাদের মৃতুর কারণ জানা যায়নি। ঘটনাটি তদন্ত করা হচ্ছে।