‘সবার জন্য প্রয়োজন, জন্ম ও মৃত্যুর পরপরই নিবন্ধন’ এই প্রতিপাদ্য নিয়ে বুধবার দুপুরে খুলনা জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে জাতীয় জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক।
প্রধান অতিথির বক্তৃতায় সিটি মেয়র বলেন, জন্মনিবন্ধন সকল শিশুর অধিকার। দিবস সম্পর্কে সচেতন করাই দিবস পালনের উদ্দেশ্য। জন্মনিবন্ধনের গুরুত্ব সঠিক সময়ে উপলদ্ধি করা গেলে সবাই সরকারের দেওয়া সুবিধাগুলো সময়মত পেতো। তিনি বলেন, সব নাগরিকের মৌলিক অধিকার নিশ্চিতে সরকার বদ্ধপরিকর। টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা পূরণে ২০৩০ সালের মধ্যে শতভাগ জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধন করতে হলে জনপ্রতিনিধি ও দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের আন্তরিকতার সাথে কাজ করতে হবে।
সভায় জানানো হয়, নাগরিকের মৌলিক অধিকার সরকারি সেবা যথাসময়ে পেতে জন্মনিবন্ধন একান্ত প্রয়োজন। জন্মনিবন্ধনের ক্ষেত্রে দেশের মধ্যে খুলনা জেলার অবস্থান ১৯তম। নাগরিকের অবস্থান ভেদে সিটি কর্পোরেশন, পৌরসভা, ইউনিয়ন পরিষদ অথবা ক্যান্টনমেন্ট বোর্ডের মাধ্যমে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন করা যাবে। বিদেশে অবস্থানকারী বাংলাদেশিরা ঐ দেশে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসে নিবন্ধন সম্পন্ন করতে পারবেন। আইন অনুযায়ী জন্মনিবন্ধন সনদ ব্যতীত স্কুলে ভর্তি, পাসপোর্ট ইস্যু, বিবাহ নিবন্ধন, সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ, ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়া, ভোটার তালিকায় নাম অন্তর্ভূক্তি, জমি রেজিস্ট্রেশন, জাতীয় পরিচয়পত্র, টিকা গ্রহণ, ব্যাংকে অ্যাকাউন্ট খোলাসহ অন্যান্য সেবা পাওয়া যাবে না। শিশুর জন্মের ৪৫ দিনের মধ্যে তার জন্মনিবন্ধন বাধ্যতামূলক। উল্লেখ্য, সবার জন্য জন্মনিবন্ধন নিশ্চিত করতে ২০১০ সাল থেকে অনলাইনে জন্মনিবন্ধন কার্যক্রম শুরু হয়।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন খুলনার অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) মোঃ আব্দুর রশিদ, স্থানীয় সরকার বিভাগের পরিচালক মোঃ গিয়াস উদ্দিন এবং খুলনা মেডিকেল কলেজের উপাধ্যক্ষ ডাঃ মেহেদী নেওয়াজ। খুলনার জেলা প্রশাসক মোঃ মনিরুজ্জামান তালুকদার অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। স্বাগত জানান স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক মোঃ ইকবাল হোসেন। অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন খুলনা আঞ্চলিক তথ্য অফিসের উপপ্রধান তথ্য অফিসার জিনাত আরা আহমেদ, খুলনা প্রেসক্লাবের সভাপতি এসএম জাহিদ হোসেন, ইউনিসেফ খুলনা ফিল্ড অফিসের প্রধান কাওসার হোসেন প্রমুখ।
সভায় জনপ্রতিনিধি ও সরকারি-বেসরকারি দপ্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।