খুলনা জেলা পরিষদ ঠিকাদার কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক যুবলীগ নেতা এমডি মফিজ উদ্দিনকে মারধোরের ঘটনায় খুলনা থানায় মামলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৭ অক্টোবর) রাতে ভিকটিম নিজে বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন। মামলা মূল আসামি সুজনকে পুলিশ এখনও পর্যন্ত গ্রেপ্তার করতে পারেনি। তবে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে খুলনা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) মোঃ হানিফ জানিয়েছেন।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ভিকটিম জেলা পরিষদের একজন প্রথম শ্রেণির ঠিকাদার ও খুলনা জেলা পরিষদ ঠিকাদার কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক। ৬ অক্টোবর সকাল সাড়ে নয়টার দিকে জেলা পরিষদের দ্বিতীয় তলায় একটি কাজের ব্যাপারে প্রশাসনিক কর্মকর্তার কাছে যান তিনি। কাজ শেষে ওই কর্মকর্তার রুম থেকে বের হওয়া মাত্র মামলার আসামি সুজনসহ অজ্ঞাত নামা আরও কয়েকজন তার ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। সুজন চাপাতি দিয়ে হত্যার উদ্দেশে্য কোঁপ দিলে তার মাথার ডান পাশের হাড় কেটে যায়। রক্ত দেখে পড়ে যান এবং পকেটে থাকা চার লাখ ৫০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয় সুজন। সুজনের সাথে থাকা অজ্ঞাতনামা সন্ত্রাসীদের আঘাতে ভিকটিমের ডান চোখ মারাত্মক জখম হয়। এ ঘটনার দু’দিন পরে তিনি সুজনের নাম উল্লেখসহ আরও অজ্ঞাতনামা চার থেকে পাঁচ জনের বিরুদ্ধে খুলনা সদর থানায় মামলা দায়ের করেন, যার নং ১০।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা টিপু সুলতান জানান, বৃহস্পতিবার রাতে এমডি মফিজ উদ্দিন বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেছেন। আসামিকে গ্রেপ্তারের উদ্দেশ্যে শুক্রবার সারাদিন অভিযান চালানো হয়েছে। সুজনের বাড়িতে বউ ও ছেলে ছাড়া আর কোন পুরুষ মানুষ নেই। একটি টেন্ডারের বিষয়কে কেন্দ্র করে এ মারামারির সূত্রপাত বলে তিনি জানিয়েছেন। আসামি সুজনকে গ্রেপ্তার করতে পারলে ঘটনার সত্যতা জানা যাবে।
অপরদিকে, ভিকটিম এমডি মফিজ উদ্দিন শুক্রবার রাতে এ প্রতিবেদককে জানান, খুব চালাক প্রকৃতির লোক সুজন। একজন সুবিধাবাদী লোক সে । সে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদি দলের রাজনীতির সাথে জড়িত। জেলা পরিষদের তালিকাভুক্ত ঠিকাদার নন সুজন। তবে বিভিন্ন এলাকার ঘাটগুলো ডাকে নেয় সুজন। আসামিরা গ্রেপ্তার না হওয়া পর্যন্ত আতঙ্কে রয়েছেন তিনি।