চাল, ডাল, তেল, এলপি গ্যাসসহ ১২ নিত্যপণ্যের আকাশচুম্বি মূল্যবৃদ্ধিতে জনজীবন দুবির্ষহ হয়ে ওঠেছে বলে অভিযোগ করেছেন খুলনা মহানগর বিএনপি। বিএনপি নেতৃবৃন্দ বলেছেন, তরিতরকারি, চাল, ডালসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের আকাশচুম্বি মূল্যবৃদ্ধিতে জনজীবনে চরম নাভিশ্বাস ওঠেছে। সরকার জনগনের সম্পদ লুটপাটে সফল হলেও সাধারণ জনগনের প্রধান সমস্যা দ্রব্যমুল্যের পাগলা ঘোড়া নিয়ন্ত্রন করতে ব্যর্থ হয়েছে। ১০ টাকা চাল খাওয়ানোর মিথ্যা শ্লোগান দিয়ে ক্ষমতায় এসে ১৩ বছরেও জনদুর্ভোগ নিয়ে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহন করেনি। শনিবার (৯ অক্টোবর) দ্রব্যমুল্যের লাগামহীন উর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রনের দাবীতে প্রদত্ত বিবৃতিতে বিএনপি নেতারা বলেন, বন্যা, রাজনৈতিক অস্থিরতা, পরিবহন সংকট ও আন্তর্জাতিক মার্কেটে দাম বাড়লে দেশের বাজারে এর প্রভাব পড়ে। কিন্তু দেশে এসবের কোনো কারণ নেই। আছে পর্যাপ্ত সরবরাহ। তারপরও বাজারে প্রায় সব ধরনের নিত্যপণ্যের দাম হু হু করে বাড়ছে। গত দুই/তিনদিনের ব্যবধানে খুচরা বাজারে প্রায় এক ডজনের বেশি পণ্যের দাম বেড়েছে। ফলে ভোক্তাকে বাড়তি টাকা ব্যয় করতে হচ্ছে। সংসারের মাসিক বাজেটে ঘাটতি পড়ছে অনেকের। সরু ও মোটা চাল, সয়াবিন, পাম অয়েল সুপার, পিয়াজ, রসুন, ব্রয়লার মুরগি, জিরা, ডাল, ছোলা, আদা, খোলা ময়দা ও এলাচের দাম বেড়েছে। এরমধ্যে সপ্তাহের ব্যবধানে পিয়াজের দাম কেজিতে বেড়েছে ৩০ টাকা। কেজিতে ব্রয়লার মুরগির দাম বেড়েছে ১০ থেকে ১৫ টাকা পর্যন্ত। পাশাপাশি সব ধরনের সবজিও চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে। এতে দিশাহারা হয়ে পড়েছে নিম্নআয়ের মানুষ। বিএনপি নেতারা বলেন, সরকার দলীয় কালোবাজারী সিন্ডিকেট চক্র সিন্ডিকেট করে জিনিসপত্রের দাম বাড়িয়ে দিয়ে জনগণকে ভোগান্তিতে ফেলেছে। ফলে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারছে না সরকার। দেশজুড়ে চরম অরাজকতা সৃষ্টি হয়েছে। করোনাকালে আয় কমে যাওয়ায় ভোক্তারা সব কিছুতেই ব্যয় সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে। এরমধ্যে নিত্যপণ্যের বাড়তি দাম তাদের আরও বেশি দিশাহারা করে তুলছে। অপর দিকে খুলনায় এলপি গ্যাসের দাম দফায় দফায় বাড়ছে। এক সপ্তাহের ব্যবধানে বিভিন্ন কোম্পানির ১২ কেজি ওজনের সিলিন্ডার গ্রতি দাম বেড়েছে ১৩০ টাকা করে। এ নিয়ে চলতি বছর গ্যাসের মূল্য সাত দফা বৃদ্ধি পেয়েছে। বিভিন্নভাবে খোড়া অজুহাত তুলে গ্যাসের দামবৃদ্ধি হলেও সংশ্লিষ্ট তদারকি কর্তৃপক্ষ কোন খোজ রাখছেন না। নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে এলপি গ্যাসসহ দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন উর্ধ্বগতি রোধের আহবান জানিয়েছেন। অন্যথায় জীবনের তাগিদে সাধারণ মানুষ রাস্তায় নামতে বাধ্য হবে।
বিবৃতিদাতারা হলেন খুলনা মহানগর বিএনপির সভাপতি সাবেক সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম মঞ্জু, সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মনিরুজ্জামান মনি, সাহারুজ্জামান মোর্ত্তজা, মীর কায়সেদ আলী, শেখ মোশাররফ হোসেন, জাফরউল¬াহ খান সাচ্চু, জলিল খান কালাম, সিরাজুল ইসলাম, এড. ফজলে হালিম লিটন, এড. বজলুর রহমান, এড. এস আর ফারুক, স ম আব্দুর রহমান, শেখ ইকবাল হোসেন, শেখ জাহিদুল ইসলাম, অধ্যক্ষ তারিকুল ইসলাম, অধ্যাপক আরিফুজ্জামান অপু, সিরাজুল হক নান্নু, মো. মাহবুব কায়সার, নজরুল ইসলাম বাবু, আসাদুজ্জামান মুরাদ, এস এম আরিফুর রহমান মিঠু ও ইকবাল হোসেন খোকন প্রমুখ।-খবর বিজ্ঞপ্তি