কিছুদিনের মধ্যে পেঁয়াজের দাম কমে যাবে বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক। তিনি বলেন, বাজারে অনেক পণ্যেরই দাম কম। আবার কিছু কিছু পণ্যের দাম বেশ বেড়েছে। এর মধ্যে পেঁয়াজ একটি। তবে পেঁয়াজের দাম কিছুদিনের মধ্যেই কমে আসবে।
সোমবার (১১ অক্টোবর) বিকেলে রাজধানীর বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল (বিএআরসি) অডিটরিয়ামে ‘শাকসবজি, আলু, ফলমূল ও প্রক্রিয়াজাত কৃষিপণ্য রফতানি বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রণীত খসড়া রোডম্যাপ’ উপস্থাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, সামগ্রিকভাবে মানুষ এখন খাদ্যের কষ্টে নেই। আমরা দানাদার খাদ্যের স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছি। কিছু কিছু খাবারের ক্ষেত্রে দামের সমস্যা হলেও দেশে মঙ্গা বা না খেয়ে থাকার মতো পরিস্থিতি নেই।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, আমরা পেঁয়াজ নিয়ে অনেকগুলো উদ্যোগ নিয়েছে। এর মধ্যে মৌসুমে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ করা হয়েছিল, যেন চাষিরা ভালো দাম পায়। তার একটি প্রভাব বাজারে পড়েছে। কিন্তু আমদানি এখন চালু রয়েছে, বাজার স্বাভাবিক করতে বেশকিছু উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, অন্যদিকে দেখুন বাজারের ডিম-মুরগির দাম অনেক কম। দীর্ঘদিন ধরে এসব পণ্যের দাম খুব একটা বাড়েনি। সে ক্ষেত্রে আবার খামারিরা লোকসান দিচ্ছেন। ভালো দাম পাচ্ছেন না।
এদিকে দেশ থেকে গত বছর এক বিলিয়ন ডলারের কৃষিপণ্যের রফতানি হয়েছে। কিছু বাধা দূর হলেই আগামী দুই বছরের মধ্যে এ রফতানির ২ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হবে। সে লক্ষ্যে রোডম্যাপ করেছে সরকার।
রোডম্যাপ অনুযায়ী, কৃষিপণ্য রফতানির ক্ষেত্রে ২০২১-২২ সালে ১.৬৩৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার (সম্ভাব্য) এবং ২০২২-২৩ সালে (জুন পর্যন্ত) ২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার (সম্ভাব্য) আয় করা সম্ভব হবে। আর আলু রফতানির ২০২২ সালে ৮০ হাজার টন, ২০২৩ সালে ১ লাখ ২০ হাজার টন, ২০২৪ সালে ১ লাখ ৮০ হাজার এবং ২০২৫ সালে ২ লাখ ৫০ হাজার টন আলু রফতানি করা সম্ভব বলে খসড়া রোডম্যাপে উল্লেখ করা হয়েছে।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেম কৃষি বিপণন অধিদফতরের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) মোহাম্মদ ইউসুফ, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. শেখ মোহাম্মদ বখতিয়ার, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের মহাপরিচালক মো. আসাদুল্লাহ এবং বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান ড. অমিতাভ সরকার।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. রুহুল আমিন তালুকদার।