কুমিল্লাসহ দেশের বিভিন্ন জেলার পূজামণ্ডপে হামলাকারীদের শাস্তি নিশ্চিতের দাবিসহ ৭ দফা দাবিতে রাজধানীর শাহবাগ মোড় অবরোধ করে বিক্ষোভ করছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
সোমবার (১৮ অক্টোবর) সকাল ১০টা থেকে শিক্ষার্থীদের অবরোধের কারণে শাহবাগ থেকে পল্টন, সায়েন্স ল্যাব, বাংলামোটর ও টিএসসি অভিমুখী সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।
এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হলসহ বিভিন্ন হলের আবাসিক শিক্ষার্থীরা টিএসসি এলাকায় জড়ো হন। সেখান থেকে তারা মিছিল নিয়ে শাহবাগ মোড়ে আসেন।
শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নিয়ে প্রতিবাদী শিক্ষার্থীরা নানা স্লোগান দিচ্ছেন। স্লোগানে স্লোগানে তারা বলছেন, ‘সংখ্যালঘু মন্ত্রণালয় করতে হবে’, ‘মন্দিরে হামলা কেন, প্রশাসন জবাব চাই’ ইত্যাদি।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) রমনা বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) সাজ্জাদুর রহমান বলেন, ‘গতকাল রাতে রংপুরের ঘটনার প্রতিবাদে শাহবাগ মোড়ে জগন্নাথ হলের ছাত্ররা অবস্থান নিয়েছে। যান চলাচল বেশ কিছুক্ষণ ধরে বন্ধ আছে। হলের প্রভোস্ট স্যারও আছেন।’
অবরোধে যোগ দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক মিহির লাল শাহ বলেন, ‘আমরা সবাই বাংলাদেশের মানুষ। সকলের শরীরে একই রক্ত প্রবাহিত হয়। তাহলে এ ধর্মীয় উম্মাদনা কেন? সরকারের প্রতি আমাদের দাবি, এই সাম্প্রদায়িক হামলা বন্ধ করতে হবে। দ্রুত হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেয়া হোক। আমাদের দাবি না মানা পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে।’
কুমিল্লার ঘটনার জের ধরে গত বুধবার থেকে দেশের অন্তত ১০ জেলায় পূজামণ্ডপ, মন্দিরসহ হিন্দুদের বাসাবাড়ি ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে হামলার ঘটনা ঘটেছে। এসব হামলার ঘটনায় ২৮টি মামলায় অজ্ঞাতসহ ৯ হাজার ৫২৫ জনকে আসামি করা হয়েছে। মামলায় এ পর্যন্ত ২২৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
বাঙালি সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা চলাকালে ও পূজা শেষ হওয়ার পর দেশের বিভিন্ন স্থানে মন্দির ও মণ্ডপে হামলা, প্রতিমা ভাঙচুর ও প্রাণহানির ঘটনায় উদ্বেগ ও তীব্র নিন্দা জানিয়েছে বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দল ও সামাজিক সংগঠন।