টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় বিজ্ঞাপন বলা হয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলকে। অথচ বিশ্বকাপের চলতি আসরে নিজেদের প্রথম ম্যাচেই ভিন্ন এক উইন্ডিজকেই দেখা গেল।
দুবাই ক্রিকেট গ্রাউন্ডে শনিবার (২৩ অক্টোবর) ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টস জিতে ব্যাটিং নিয়েছিল পোলার্ডের ওয়েস্ট ইন্ডিজ দল। তবে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই বিপর্যয়ে পড়া গেইল-পোলার্ডরা আর শেষ পর্যন্ত আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি।
এর আগে একের পর এক আসা-যাওয়ার মিছিলে শেষ পর্যন্ত ক্যারিবীয়দের ইনিংস থেমে গেছে ১০ উইকেট হারিয়ে মাত্র ৫৫ রানে। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে এটি উইন্ডিজদের দ্বিতীয় সর্বনিম্ন ইনিংস। এর আগে ২০১৯ সালে এই ইংল্যান্ডের বিপক্ষেই নিজেদের ইতিহাসের সর্বনিম্ন ৪৫ রানে গুটিয়ে গিয়েছিল ক্যারিবীয়রা।
একের পর এক সাজঘরে ফেরেন লিন্ডলে সিমন্স, এভিন লুইস, শিমরান হেটমায়ার, ক্রিস গেইল, ডোয়াইন ব্রাভো, নিকোলাস পুরান ও আন্দ্রে রাসেলরা।
ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই এভিন লুইসকে হারায়। ৫ বলে ৬ রান করে ক্রিস ওকসের বলে মঈন আলির কাছে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন এই ওপেনার। অন্যদিকে তৃতীয় ওভারে মঈন আলির বলে ফিরে গেছেন অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান লিন্ডলে সিমন্সও। আউট হওয়ার আগে ৭ বলে মাত্র ৩ রান করতে পেরেছিলেন তিনি।
এদিকে ইংলিশ অলরাউন্ডার মঈন আলির দ্বিতীয় শিকার মারকাটারি ব্যাটার শিমরান হেটমায়ার। ৯ বলে ৯ করে ফিরে গেছেন তিনিও। এছাড়া হতাশ করেছেন ‘ইউনিভার্স বস’ ক্রিস গেইলও। দলের এমন ব্যাটিং বিপর্যয়ে হাল ধরতে পারেননি তিনিও। ১৩ বলে ১৩ রান করে ফিরে গেছেন তিনি।
গেইলের পর ডোয়াইন ব্রাভো ক্রিস জর্ডানের বলে ৫ বলে ৫ করে ফিরে গেছেন।এছাড়া মিলসের বলে কাটা পড়েছেন নিকোলাস পুরানও। করেছেন ৯ বলে মাত্র ১ রান।
এদিকে, সতীর্থদের আসা-যাওয়ার মিছিলে দলের হাল ধরতে পুরোপুরি ব্যর্থ দলপতি কাইরন পোলার্ডও। আদিল রশিদের বলে ১৪ বলে ৬ রান করে সাজঘরে ফিরে গেছেন তিনি।
এর আগে পাঁচ বছর আগে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সর্বশেষ আসরের ফাইনালে ইডেনে মুখোমুখি হয়েছিল ইংল্যান্ড ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এবার সুপার টুয়েলভের প্রথম ম্যাচেই সাক্ষাৎ দুই দলের। তবে গত আসরে ইংল্যান্ডকে হারিয়ে শিরোপা জিতলেও এবার ব্যাটিং বিপর্যয় সঙ্গী ক্যারিবীয়দের।
গত আসরের ফাইনালে বেন স্টোকসের শেষ ওভারে টানা চারটি ছক্কা মেরে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে অবিশ্বাস্য জয় উপহার দিয়েছিলেন কার্লোস ব্রাথওয়েট। কিন্তু ভাগ্যের কি নির্মম পরিহাস, সে দিনের নন্দিত ও নিন্দিত কেউই এবার দলে নেই। ব্রাথওয়েট ছিটকে গেছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিশ্বকাপ স্কোয়াড থেকে। অন্যদিকে মানসিক অসুস্থতার কথা বলে ক্রিকেট থেকেই সরে দাঁড়িয়েছেন ইংলিশ অলরাউন্ডার।