খুলনার দিঘলিয়া উপজেলার সেনহাটি ইউনিয়ন পরিষদ থেকে সদ্য নির্বাচিত স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান গাজী জিয়াউর রহমান (জিয়া গাজী) একটি হত্যা মামলায় আদালতে হাজিরা দিতে গেলে বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট তাকে জেলা কারাগারে প্রেরণ করেন।
মঙ্গলবার (২ নভেম্বর) সকালে খুলনার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট এর আদালতে হাজির হয়ে পুনরায় জামিন চাইলে বিজ্ঞ আদালত উচ্চ আদালতের জামিনের মেয়াদ শেষ হওয়ায় তাকে কারাগারে প্রেরণ করেন।
গত ২৫ জুলাই স্থানীয় ইউপি নির্বাচন, এলাকায় আধিপত্য বিস্তার ও প্রতিহিংসার কারণে সন্ত্রাসীদের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে খুন হন যুবলীগ নেতা ও ইলেকট্রনিক ব্যাবসায়ী ইয়াসিন শেখ। ইয়াসিন শেখ নিহত হওয়ার পর গত ২৭ জুলাই দিঘলিয়া থানায় হাজির হয়ে চেয়ারম্যান জিয়া গাজীসহ অন্যান্য আসামীদের নাম উল্লেখ করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন নিহতের মা হাফিজা বেগম, যার মামলা নং ০৯।
দিঘলিয়া থানায় মামলা হওয়ার পর ১ নং আসামি চেয়ারম্যান গাজী জিয়াউর রহমান (জিয়া গাজী) পলাতক ছিলেন।
ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনকে সামনে রেখে এই হত্যা মামলার ১নং আসামি গাজী জিয়াউর রহমান (জিয়া গাজী) গত ৬ সেপ্টেম্বর উচ্চ আদালত থেকে ৮ সপ্তাহের জামিন গ্রহন করেন। জামিনে থাকাকালীন সময়ে সদ্য সমাপ্ত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সেনহাটি ইউনিয়ন পরিষদ থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে পাঁচ হাজার দুইশ’ ভোটের ব্যাবধানে বিজয় অর্জন করেন।
দিঘলিয়ার চাঞ্চল্যকর ইয়াসিন শেখ হত্যা মামলায় গত ২৮ জুলাই খুলনার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট মনিরুজ্জামান এর আদালতে চন্দনীমহল এলাকার বাবুল খাঁ এর ছেলে সানী ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছে। সানির স্বীকারোক্তি মোতাবেক নিহত ইয়াসিন শেখ এর আপন মামাতো ভাই ইমরান গাজী (৩২) ও ইকলাস গাজী (২৭) কে দিঘলিয়া থানা পুলিশ আটক করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করেছেন।
সেনহাটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গাজী জিয়াউর রহমান (জিয়া গাজী) আটক হওয়ায় এই হত্যা মামলায় চারজন কারাগারে আছে বলে জানা গেছে।