দুর্নীতি লুটপাট বন্ধ কর অবিলম্বে ডিজেল, কেরোসিন ও এলপি গ্যাসের বর্ধিত মূল্য প্রত্যাহার কর এই স্লোগানে অবিলম্বে ডিজেল, কেরোসিন ও এলপি গ্যাসের বর্ধিত মূল্য প্রত্যাহারের দাবিতে বাম গণতান্ত্রিক জোট মাগুরা জেলার উদ্যোগে আজ ৮ নভেম্বর সোমবার সকাল সাড়ে ১০টায় চৌরঙ্গী মোড়ে মাগুরা জেলা প্রেসক্লাবের সামনে সমাবেশ ও মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন বাম গণতান্ত্রিক জোট মাগুরা জেলার সমন্বয়ক ও বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টির কেন্দ্রীয় নেতা কাজী নজরুল ইসলাম ফিরোজ। সমাবেশ পরিচালনা করেন সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদ কেন্দ্রীয় পাঠচক্র ফোরামের সদস্য প্রকৌশলী শম্পা বসু, জাসদ মাগুরা জেলা শাখার সভাপতি এটিএম মহব্বত আলী প্রমূখ।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, পাশের দেশে তেল পাচারের ও আন্তর্জাতিক বাজারে মূল্য বৃদ্ধির অজুহাত দেখিয়ে মূল্য বৃদ্ধির ঘোষণা সম্পূর্ণ অযৌক্তিক। সরকার শুধু মাত্র আন্তর্জাতিক বাজারে মূল্য বৃদ্ধির অজুহাত দেখিয়ে এখন সরকার লস করছে সেই কথা বলছে। কিন্তু গত ৭ বছর আন্তর্জাতিক বাজারে দাম কম থাকার পরও দেশে দাম না কমিয়ে সরকার ৪০ হাজার কোটি টাকার বেশি মুনাফা করেছে। এই মুনাফার একটা অংশ এখন ভর্তুকী হিসেবে দিলেও দাম বাড়ানোর প্রয়োজন হতো না। তেল পাচারের অজুহাতও ভূয়া কারণ তেল পকেটে করে পাচার করা যায় না। তাহলে জনগণের ট্যাক্সের টাকায় বেতন নেয়া পুলিশ, বিজিবি কেন পাচার রোধ করতে পারে না?
বক্তাগণ আরও বলেন, জ্বালানি তেল ডিজেল, কেরোসিন ও ফার্নেস অয়েল এর মূল্য বৃদ্ধির অভিঘাত দেশের ১৭ কোটি মানুষের উপর পড়বে। কারণ ডিজেলের উপর আমাদের কৃষি, পরিবহন, শিল্প এবং বিদ্যুৎ উৎপাদন নির্ভরশীল। একদিকে তেলের মূল্য বৃদ্ধি, এলপি গ্যাসের দাম এক মাসের মধ্যে ২ বার বৃদ্ধি অন্যদিকে নিত্য প্রয়োজনীয় সকল দ্রব্যের অস্বাভাবিক দামে জনজীবন অতিষ্ঠ। ফলে মূল্য বৃদ্ধির প্রভাবে এই করোনাকালে আয় কমে যাওয়া, কর্মহীন হয়ে পড়া মানুষের জীবনে নাভিশ্বাস উঠছে।
বক্তাগণ অবিলম্বে জ্বালানি তেল, এলপি গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধির অযৌক্তিক ও গণবিরোধী সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে গ্রাম-শহরে রেশনিং চালু, শুল্কসহ অন্যান্য সরকারি খরচ কমিয়ে জ্বালানি তেলের দাম কমিয়ে জনগণের ভোগান্তি কমানোর আহ্বান জানান।
সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল চৌরঙ্গী মোড় থেকে শুরু করে ভায়না মোড় পর্যন্ত প্রদক্ষিণ করে শেষ হয়।