দেশে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর প্রতিবাদে তিন দিন বাস ধর্মঘটের তীব্র ভোগান্তিরর পর সোমবার (৮ নভেম্বর) রাজধানীসহ সারাদেশে বাস চলছে। তবে কোথাও কোথাও বাড়তি নেওয়ার অভিযোগও করছেন যাত্রীরা।
জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধির কারণে বাস ভাড়া প্রায় ২৭ শতাংশ বেড়েছে। রবিবার (৭ নভেম্বর) বনানীতে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) প্রধান কার্যালয়ে পরিবহন মালিক সমিতির নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়। সোমবার থেকে প্রস্তাবিত ভাড়া কার্যকর হয়েছে।
তবে আগেই রবিবার সন্ধ্যা থেকে ইচ্ছেমতো ভাড়া নিয়ে যাত্রী বহন শুরু করেছে রাজধানীর বিভিন্ন রুটের বাস কোম্পানিগুলো। বিভিন্ন টার্মিনাল থেকে ছেড়ে গেছে দূরপাল্লার বাস।
সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দূরপাল্লার বাসের ভাড়া প্রতিকিলোমিটারে ১ টাকা ৪২ পয়সার জায়গায় ১ টাকা ৮০ পয়সা হবে। এ ক্ষেত্রে ভাড়া বাড়ছে ২৭ শতাংশ। তবে সিএনজিচালিত বাসের ক্ষেত্রে নতুন ভাড়া কার্যকর হবে না।
আর ঢাকা, চট্টগ্রামসহ মহানগরগুলোতে ২৬ দশমিক ৫ শতাংশ ভাড়া বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে।
মহানগরে বড় বাসের ভাড়া কিলোমিটারে ১ টাকা ৭০ পয়সার জায়গায় ২ টাকা ১৫ পয়সা হচ্ছে। আর মিনি বাসের ভাড়া ১ টাকা ৬০ পয়সার জায়গায় ২ টাকা ৫ পয়সা করা হয়েছে।
ঢাকায় মিনিবাসের সর্বনিম্ন ভাড়া হচ্ছে ৮ টাকা। আর বড় বাসের সর্বনিম্ন ভাড়া হচ্ছে ১০ টাকা।
সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক এনায়েত উল্লাহ খান জানিয়েছেন, বাড়তি ভাড়া আদায়ের বিষয়টি নজরদারিতে রাখা হয়েছে। সব জেলা থেকে বাস চলাচল শুরু করার আহ্বান জানান তিনি।
রাজধানীর বিভিন্ন টার্মিনালের বিভিন্ন পরিবহনের স্টাফদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ধর্মঘটের পর সোমবার বাস চলাচল শুরু হওয়ায় প্রথম দিনে যাত্রী ও পরিবহনের সংখ্যা কিছুটা কম।
বিশ্ব বাজারে জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে গত বুধবার রাতে ডিজেল ও কেরোসিনের দাম লিটারে ১৫ টাকা বাড়িয়ে ৮০ টাকা নির্ধারণ করে সরকার। এরপর ভাড়া বাড়ানোর দাবিতে গত শুক্রবার অঘোষিতভাবে বাস, ট্রাক ও অন্য পণ্যবাহী যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেন মালিকেরা।