কয়রা(খুলনা)প্রতিনিধি :: কয়রা উপজেলা আইন শৃঙ্খলা কমিটির সভায় পানিউন্নয়ন বোর্ডের বেঁড়িবাঁধ রক্ষা করতে লবণ পানির চিংড়ীঘের বন্ধ করতে সকলকে সহযোগিতা করার অনুরোধ জানিয়েছেন জাতীয় সংসদ সদস্য। সোমবার সকাল ১১ টায় উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে আইনশৃঙ্খলা ও মাসিক সাধারণ সভায় সংসদ সদস্য আলহাজ¦ মোঃ আকতারুজ্জামান বাবু উপস্থিত সকলের উদ্দেশ্যে এধরনের দাবী উপস্থাপন করেন। জানা গেছে, সংসদ সদস্যের দাবীর স্বপক্ষে সকল ইউপি চেয়ারম্যান, উপজেলা প্রশাসন একমত পোষণ করে আগামী বছরের শুরু থেকেই এ বিষয়ে কঠোর হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। সভায় আলোচনার অধিকাংশ সময় বেঁড়িবাঁধ রক্ষা নিয়ে আলোচনান্তে বেঁড়িবাঁধের তলে পাইপ ঢুকিয়ে লবণ পানি তোলা বন্ধ করতে পানি উন্নয়ন বোর্ডকে জরুরি পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে। এছাড়া রাস্তার পাশে ১০ ফুট দুরত্বে রিংবাঁধ দিয়ে মাছ চাষ করার জন্য ইউপি চেয়ারম্যানদের নিজ নিজ এলাকায় প্রচারের জন্য সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সভায় একাধিক সদস্য জানায়, বেঁড়িবাঁধে কাজ করার আগেই কতিপয় সাংবাদিক দূর্নিতির খবর প্রকাশ করায় বেঁড়িবাঁধের কাজ বাঁধা গ্রস্থ হয়। সভার প্রধান প্রধান উপদেষ্ঠা কয়রা-পাইকগাছার সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মোঃ আক্তারুজ্জামান বাবু বলেন, আগামী ২০২২ সালের শুরু থেকে ৭ টি ইউনিয়নে লবন পানি তুলে কেউ মৎস্যঘের করতে পারবেনা। তবে মিষ্ঠি পানির মৎস্যঘের করা হলে একই জমিতে ধান চাষ করা সম্ভব। তিনি আরও বলেন, লবণ পানির চিংড়ীঘেরের আশেপাশে কোন গাছ গাছালি বাঁচে না এবং সেই এলাকা মরুভুমির মত দেখা যায়। এছাড়া এলাকায় পরিবেশের মারাক্তক ক্ষতির পাশাপাশি রাস্তাঘাট নির্মাণ কাজে বাঁধাগ্রস্থ সহ অনেক উন্নয়ন কাজ পিছিয়ে পড়ে। সভায় সংসদ সদস্যের বক্তব্যের সাথে সকল ইউপি চেয়ারম্যান পুলিশ প্রশাসন সহ সভার অন্যান্য সদস্যরাও উপজেলার উন্নয়ন ও পরিবেশের স্বার্থে একমত পোষণ করেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার অনিমেষ বিশ্বাসের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন উপজেলা চেয়ারম্যান এস এম শফিকুল ইসলাম, সহকারি কমিশনার (ভুমি) এম সাইফুল্লাহ, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাসিমা আলম ও কয়রা থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ রবিউল হোসেন। এতে আরও বক্তব্য রাখেন নব-নির্বাচিত ইউপি চেয়ারম্যান এস এম বাহারুল ইসলাম, মোঃ আব্দুল্যাহ আল মাহমুদ, আঃ সামাদ গাজী, জিয়াউর রহমান জুয়েল, প্রভাষক শাহনেওয়াজ শিকারী, সরদার নুরুল ইসলাম, মোঃ আছের আলী মোড়ল, পল্লী বিদুৎতের ডি,জি,এম এ সামাদ, প্রধান শিক্ষক খায়রুল আলম, স্যানিটারী ইন্সপ্যাক্টর নারায়ন চন্দ্র প্রমুখ।