করোনার রোগী পরীক্ষার ইউজার ফির দুই কোটি ৫৮ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে খুলনা সদর হাসপাতালের মেডিকেল টেকনোলজিস্ট (ল্যাব) প্ৰকাশ কুমার দাসের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে।বৃহস্পতিবার (১৮ নভেম্বর) দুর্নীতি দমন কমিশন খুলনা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে প্রকাশ দাসের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪০৯/৪২০ ধারা এবং ১৯৪৭ সনের দুর্নীতি প্রতিরাধ আইনের ৫(২) ধারায় অভিযোগে এ মামলা দায়ের করেন (যার নং ১৬) সংস্থার উপ-সহকারী পরিচালক খন্দকার কামরুজ্জামান। তবে গত ২৭ সেপ্টেম্বর থেকে অভিযুক্ত প্রকাশ পলাতক রয়েছে বলে জানা গেছে।
এর পূর্বে, আত্মসাতের বিষয়টি সন্দেহ হলে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের সিভিল সার্জন কাম তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ নিয়াজ মোহাম্মদের নেতৃত্বে ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তাতেও অভিযোগের প্রমাণ মেলে। খুলনা সিভিল সার্জন অফিস থেকে ২৭ সেপ্টেম্বর খুলনা সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়। সেই জিডির কপিসহ অভিযোগ সংশ্লিষ্ট নথিপত্র যাচাই করে প্রকাশের বিরুদ্ধে আত্মসাতের প্রমাণ মেলে।
মামলার বিবরণীতে জানা যায়, টেকনোলজিস্ট প্রকাশ কুমার দাস খুলনার ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের করোনা পরীক্ষার ইউজার ফি গ্রহণ করার দায়িত্ব পেয়ে ২০২০ সালের জুলাই থেকে ২০২১ সালের জুলাই পর্যন্ত চার কোটি ২৪ লাখ ৯৩ হাজার ৯০০ টাকা আদায় করেন। এর মধ্যে এক কোটি ৬৬ লাখ ৯৬ হাজার ৭শ টাকা সরকারি কোষাগারে জমা প্রদান করেন তিনি। কিন্তু বাকি দুই কোটি ৫৭ লাখ ৯৭ হাজার ২০০ টাকা সরকারি কোষাগারে জমা প্রদান না করে আত্মসাৎ করেন।