নড়াইল সদর উপজেলার ভবানীপুর গ্রামে কৃষক মফি শেখ (২৮) হত্যা মামলায় প্রতিবেশি জামিনুর রহমান মোল্যাকে (৩০) ফাঁসির আদেশসহ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
এছাড়া জামিনুরের ছোট ভাই সাদ্দাম হোসেন শুভসহ (২৭) তার মামা সাহিদ মোল্যা (৪২) ও নানা সাত্তার মোল্যাকে (৫৫) যাবজ্জীবন কারাদন্ডাদেশ ছাড়াও প্রত্যককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরো এক বছরের বিনাশ্রম কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। এদের সবার বাড়ি ভবানীপুর গ্রামে।
আজ মঙ্গলবার (৩০ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে জেলা ও দায়রা জজ মুন্সী মোঃ মশিয়ার রহমান এ আদেশ দেন। দন্ডপ্রাপ্ত আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৬ সালের ১৮ জুলাই দুপুরে নড়াইলের ভবানীপুর গ্রামের মফি শেখ তার নয় বছরের শিশুপুত্রকে নিয়ে স্কুল থেকে উপবৃত্তির টাকা তুলে বাড়িতে ফিরছিলেন। পথিমধ্যে মাথাভাঙ্গা ব্রিজের উপর ধারালো অস্ত্র দিয়ে প্রতিবেশি মফি শেখকে হত্যা করে দন্ডপ্রাপ্ত আসামিরা। জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে মফিকে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় নড়াইল সদর থানায় মামলা করেন নিহতের স্ত্রী রেকসোনা খাতুন। ছয় আসামির মধ্যে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় ফাঁসির দন্ডপ্রাপ্ত জামিনুরের মা আবেনুর খাতুন (৫০) ও মামা সাখায়েত হোসেনকে (২৬) খালাস দেয়া হয়েছে।
নিহতের স্ত্রী রেকসোনা খাতুন ও ভাই সরোয়ার শেখ বলেন, এ রায়ে আমরা সন্তুষ্টি প্রকাশ করছি। আশা করছি দ্রুত রায় কার্যকর হবে। এদিকে, রায় শুনে আসামি পক্ষের লোকজন কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন।
মফি শেখ হত্যাকান্ডের সময় শিশুপুত্র মিঠু তার সঙ্গেই ছিলেন। বাবাকে নির্মম ভাবে হত্যা করায় ভেঙ্গে পড়ে মিঠু। এছাড়া ঘটনার সময় ভূক্তভোগী মফির ১৬দিন বয়সী নবজাতক মাহিম শেখ বড় হয়ে বাবার মুখ দেখতে পারেনি। মফির স্ত্রী দুই সন্তান নিয়ে অনেক কষ্টে জীবনযাপন করছেন।