বাগেরহাটের মোল্লাহাটে শেখ শিহাবুর রহমান নামে এক শিক্ষক মসজিদের প্রস্রাবখানা ভেঙ্গে দোকান ঘর তৈরি করায় ক্ষুব্ধ হয়েছেন ওই মসজিদের মুসল্লিগণ। উপজেলার রাজপাট গ্রামে গত কয়েকদিন ধরে একাধিক দফায় দখল, দোকান তৈরি/স্থাপন ও পাকা প্রস্রাবখানা ভেঙ্গে ফেলার এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় মসজিদের ক্ষুব্দ মুসল্লিগণ জানান, রাজপাট জামে মসজিদের পায়খানা ও প্রস্রাবখানা করার জন্য অন্তত ২০/২৫ বছর পূর্বে নিকটস্থ রাস্তার পাশের জমি মৌখিক দান করেন জনৈক শেখ নুর মোহাম্মদ। এরপর মসজিদের তহবিল হতে ওই স্থানে পাকা পায়খানা ও প্রস্রাবখানা নির্মান করা হয়। যা এ যাবৎকাল মুসল্লিগণ ব্যাবহার করে আসছেন। উক্ত জমি দাতার মৃত্যুর পর তার ছোটভাই গাংনী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক শেখ শিহাবুর রহমান ওই জমি হতে মসজিদের প্রস্রাবখানা ভেঙ্গে সেখানে ছোট একচালা ঘর তুলে দখল নিয়েছেন।
এ বিষয়ে শেখ শিহাবুর রহমান বলেন, আমি একজন শিক্ষক, ওই জমি আমার বড় ভাই দান করেন, পরবর্তীতে ওই জমি সংলগ্নে ব্রীজ নির্মাণ হয়। এরপর ওইখানে কয়েকটি দোকান হয়। যাতে ওই স্থানের গুরুত্ব বেড়ে যায়। ঐসকল দোকানে লোকজন প্রস্রাবখানায় পায়খানা করা সহ অস্বাস্থ্যকর পরিবেশর সৃষ্টি করে। যে কারণে ওই প্রস্রাবখানা ভেঙ্গে সেখানে দোকান ঘর তৈরি করছি। এছাড়া ওই দোকান থেকে যে টাকা ভাড়া পাবো তা মসজিদে দিবো বলে মনস্ত করছি।