খুলনা মহানগর ও জেলা বিএনপির আংশিক কমিটি ঘোষণা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৯ ডিসেম্বর) বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে কমিটি ঘোষণা করা হয়।
খুলনা মহানগর বিএনপির আহবায়ক হয়েছেন অ্যাডভোকেট এস এম শফিকুল আলম মনা। ১নং যুগ্ম আহবায়ক তরিকুল ইসলাম জহির। সদস্য সচিব হয়েছেন মো: শফিকুল আলম তুহিন।
জেলা বিএনপির আহবায়ক হয়েছেন আমীর এজাজ খান। ১নং যুগ্ম আহবায়ক আবু হোসেন বাবু। সদস্য সচিব হয়েছেন এস এম মনিরুল হাসান বাপ্পী।
দুপুরে কমিটি ঘোষণার বিষয়টি নেতাকর্মীরা অবগত হন। দীর্ঘ ১২ বছর পর মহানগর বিএনপির আহবায়ক কমিটি আসায় উচ্ছাসে ফেটে পড়েন তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীরা। নতুন নেতৃত্বের মাধ্যমে খুলনা বিএনপি আরো ঐক্যবদ্ধ ও গতিশীল হবে বলে তারা আশা প্রকাশ করেন। ফোনে ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম শুভেচ্ছা বার্তা বিনিময় চলে।
সন্ধ্যায় নতুন কমিটির নেতৃবৃন্দ বিএনপির খুলনা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সাবেক এমপি নজরুল ইসলাম মঞ্জু এবং সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও কেসিসির সাবেক মেয়র মনিরুজ্জামান মনির বাসভবনে যান এবং তাদের সাথে মতবিনিময় করেন।
এরপর তারা কে ডি ঘোষ রোডস্থ দলীয় কার্যালয়ে আসেন। আগেই সেখানে নগরীর বিভিন্ন থানা ও ওয়ার্ড বিএনপি এবং অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের শত শত নেতাকর্মী উপস্থিত হন। বৈরী আবহাওয়া ও লাগাতার বৃষ্টিতে ভিজে অপেক্ষায় থাকেন তারা। ৭টার দিকে নতুন কমিটির নেতারা কার্যালয়ে এসে হাজির হলে করতালিতে ও শ্লোগানে শ্লোগানে মুখর হয়ে ওঠে এলাকা।
এ সময় বক্তব্য রাখেন মহানগর আহবায়ক অ্যাডভোকেট শফিকুল আলম মনা, জেলা আহবায়ক আমির এজাজ খান, মহানগর সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন, ১ম যুগ্ম আহবায়ক তরিকুল ইসলাম জহির ও জেলা সদস্য সচিব এস এম মনিরুল হাসান বাপ্পী।
কর্মীদের উদ্দেশ্যে বক্তৃতায় তারা বলেন, আমাদের মূল লক্ষ্য গুরুতর অসুস্থ দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং উন্নত চিকিতসার জন্য তাকে বিদেশে পাঠানো নিশ্চিত করতে সরকারকে বাধ্য করা। অতীতের যে কোন সময়ের তুলনায় খুলনা বিএনপি ঐক্যবদ্ধ রয়েছে। আন্দোলনের প্রাণশক্তি ছাত্রদল, যুবদল নবীণ তরুণ নেতৃত্ব রয়েছে। তারা রাজপথের আন্দোলনে যে কোন আত্মত্যাগে প্রস্তত। এই ঐক্যকে ধরে রেখে দলকে আরও শক্তিশালী করতে হবে এবং আগামীর আন্দোলনে বিজয় অর্জনের মাধ্যমে ফ্যাসিবাদের পতন ঘটাতে হবে। জনগনের ভোট ও মতপ্রকাশের অধিকার ফিরিয়ে আনতে হবে।
নবঘোষিত কমিটির মাধ্যমে তৃণমূলের নেতাকর্মীদের আশা আকাঙ্খার প্রতিফলন ঘটেছে উল্লেখ করে নেতারা বলেন, সবাইকে নিয়ে আমরা আগামীর পথ চলবো। নতুন কমিটি ঘোষণা করায় বিএনপির চেয়ারপারসন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন তারা।
বক্তৃতা শেষে অসুস্থ দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি ও দীর্ঘায়ু কামনা করে বিশেষ দোয়া মোনাজাত করা হয়। দেশনেত্রীর গুরুতর অসুস্থতা ও দেশের সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী এ সময় ফুলেল শুভেচ্ছা বিনিময় বা মিষ্টিমুখ পর্ব হয়নি।
এ সময় সদ্য সাবেক মহানগর ও জেলা বিএনপি নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন স ম আব্দুর রহমান, জুলফিকার আলী জুলু, সাইফুর রহমান মিন্টু, আজিজুল হাসান দুলু, কামরুজ্জামান টুকু, মেজবাউল আলম, শাহিনুল ইসলাম পাখি, আজিজা খানম এলিজা, মুর্শিদ কামাল, এহতেশামুল হক শাওন, শেখ সাদী, হাফিজুর রহমান, মো: মাসুদ পারভেজ বাবু, ইলিয়াস মল্লিক, কে এম হুমায়ুন কবির, অ্যাডভোকেট তৌহিদুর রহমান চৌধুরী তুষার, আব্দুল আজিজ সুমন, মোল্লা সাইফুর রহমান, রকিব মল্রিক, আলতাফ মোল্লা, মশিউর রহমান যাদু, রফিকুল ইসলাম বাবু, শেখ ইমাম হোসেন, চৌধুরী ফখরুল ইসলাম বুলু, হাবিবুর রহমান হাবিব।
যুবদল নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মাহবুব হাসান পিয়ারু, শফিকুল ইসলাম হোসেন, শামীম কবির, নাজমুল হুদা সাগর, ইবাদুল হক রুবায়েদ, কাজী নেহিবুল হাসান নেহিম।
স্বেচ্ছাসেবক দল নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন তৈয়েবুর রহমান, মো: ফারুক হিল্টন, আতাউর রহমান রুনু, শফিকুল ইসলাম শাহিন, আনোয়ার হোসেন আনো, ইউসুফ মোল্লা, মুনতাসির আল মামুন, সাইফুল ইসলাম মল্লিক, খাযরুজ্জামান সজীব, মহিদুল ইসলাম, জাহিদুল ইসলাম বাচ্চু, কামরুল ইসলাম।
ছাত্রদল নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আব্দুল মান্নান মিস্ত্রি, ইসতিযাক আহমেদ ইস্তি, গোলাম মোস্তফা তুহিন, মো: তাজিম বিশ^াস, হেলাল আহমেদ সুমন।
মহিলা দল নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন শামসুন নাহার লিপি, নাসরিন হক শ্রাবণী, লুবনা ইয়াসমিন, পাপিয়া রহমান পারুল, লাভলী প্রমুখ।