শেখ মাহতাব হোসেন :: বুধবার বিকাল সাড়ে ৪টার সময় ডুমুরিয়া উপজেলা মধুগ্রাম ইসলামী সিনিয়র মাদরাসা ময়দানে মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত মাঠ দিবসে সভায় সভাপতিত্ব করেন রুদাঘরা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ তহিদুজ্জান,
প্রধান অতিথি অতিরিক্ত পরিচালক ফজলুল হক।
বিশেষ অতিথি ছিলেন খুলনার জেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মোঃ হাফিজুর রহমান, ডুমুরিয়া উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মোঃ মোছাদ্দেক হোসেন, বক্তব্য রাখেন সাবেক চেয়ারম্যান জি এম আমানুল্লাহ, ভাসমান প্রকল্পের মনিটরিং অফিসার বিবেকানন্দ হিরা, ডুমুরিয়া উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার কৃষিবিদ মোঃ ওয়ালিদ হাসান অধ্যক্ষ মাওলানা মহিবুর রহমান, ডুমুরিয়া উপজেলা এস পিপিও সন্জয় দেবনাথ, সাংবাদিক শেখ মাহতাব হোসেন, শেখ আব্দুস সালাম, উপ-সহকারী কৃষি অফিসার কৃষিবিদ ওয়াশিংটন, সন্ধ্যা রাণী,প্রমুখ।
আলোচনা সভা শেষে ডুমুরিয়ায় জনপ্রিয় হচ্ছে ভাসমান বেডে সবজি ও মশলা চাষ পরিদর্শন করেন, খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার ভাসমান বেড দেখে সন্তোষ প্রকাশ করেন। এবং কৃষকদেরকে ধন্যবাদ জানান।
খুলনার ডুমুরিয়ায় জনপ্রিয় হচ্ছে আধুনিকভাবে ভাসমান বেডে সবজি ও মশলা চাষ। বর্তমানে উপজেলায় ৬০/৭০ জন্য কৃষকের ১২০/১৩০টি ভাসমান বেড রয়েছে।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, প্রথমে রুদাঘরা ইউনিয়নের কয়েকজন কৃষক মাত্র ১০টি ভাসমান বেড নিয়ে চাষাবাদ শুরু। কিন্তু তারা অপরিকল্পিতভাবে ভাসমান বেডটি অনেক লম্বা ও চওড়া করতো। আর বেডের উপর উঠে সবজি পরিচর্যা করতো। ফলে বেড গুলো দ্রুত নষ্ট হয়ে যেত।
পরে উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মোঃ মোছাদ্দেক হোসেনের পরামর্শে আধুনিক উপায়ে ভাসমান বেডে চাষাবাদ করে কৃষকরা। নির্দিষ্ট চওড়া ও দৈর্ঘ্যের বেড নির্মাণ করে সুন্দর করে সাজিয়ে রাখাসহ পরিচর্যা ও ফসল তোলার জন্য ডিঙ্গি নৌকা ব্যবহার করছেন কৃষকরা। এতে দ্রুত জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে ভাসমান বেড়ে সবজি ও মশলা চাষ। উপজেলার কৃষকেরা এ পদ্ধতিতে সবজি ও মশলা চাষ করে লাভবান হচ্ছেন ।
বর্তমানে উপজেলার রঘুনাথপুর, রুদাঘরা ও রংপুর ইউনিয়নের মাহাতাব শেখ, হাফিজুর রহমান ও সুরমান গাজীসহ প্রায় ৬০/৭০ জন কৃষক করছেন ভাসমান বেড়ে চাষাবাদ। ২০১৮ সাল থেকে কৃষি বিভাগের ভাসমান বেডে সবজি লালশাক, ওলকপি,বলকপি,মূলা, উচ্চে, শসা, ধুনিয়া, ঢেঁড়শ, রসুন, পেঁয়াজ, হলুদ,আলুসহ অন্যান্য ও মশলা চাষ সম্প্রসারণ প্রকল্পের আওতায় আনা হয়। এ কারণে ভাসমান বেডে সবজি ও মশলা চাষ করে অনেকেই লাভবান হচ্ছেন।