করোনাভাইরাসজনিত রোগ (কোভিড-১৯) এর নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রনের প্রাদুর্ভাব ও দেশে এই রোগের সংক্রমণ পরিস্থিতি পর্যালোচনা সংক্রান্ত আন্ত:মন্ত্রণালয় সভায় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দেশের আর্থসামাজিক অবস্থা, অর্থনৈতিক কর্মকান্ড সচল রাখা এবং সামগ্রিক পরিস্থিতি বিবেচনায় আগমীকাল ১৩ জানুয়ারি,২০২২ তারিখ থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সার্বিক কার্যাবলি ও চলাচলের ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে।
দোকান, শপিংমল ও বাজারে ক্রেতা-বিক্রেতা এবং হোটেল-রেঁস্তোরাসহ সকল জনসমাগমস্থলে বাধ্যতামূলকভাবে সবাইকে মাস্ক পরিধান করতে হবে। অফিস আদালতসহ ঘরের বাইরে অবশ্যই মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালনে সারাদেশে মোবাইলকোর্ট পরিচালনা করা হবে। রেস্তোরায় বসে খাবার গ্রহণ এবং আবাসিক হোটেলে থাকার জন্য অবশ্যই করোনা টিকা সনদ প্রদর্শন করতে হবে। ১২ বছরের উর্দ্ধের সকল শিক্ষার্থীকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক নির্ধারিত তারিখের পরে টিকা সনদ ছাড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে না। স্থলবন্দর, সমুদ্রবন্দর ও বিমানবন্দরসমূহে স্রিনিং এর সংখ্যা বাড়াতে হবে। পোর্টসমূহে ক্রুদের জাহাজের বাইরে আসার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা প্রদান করতে হবে। স্থলবন্দরগুলোতে আগত ট্রাকের সাথে শুধুমাত্র ড্রাইভার থাকতে পারবে। কোন সহকারী আসতে পাবে না। বিদেশগামীদের সাথে আসা দর্শণার্থীদের বিমানবন্দরে প্রবেশ বন্ধ করতে হবে; ট্রেন, বাস এবং লঞ্চে সক্ষমতার অর্ধেক সংখ্যক যাত্রী নেওয়া যাবে। সকল প্রকার যানের চালক ও সহকারীদের অবশ্যই কোভিড-১৯ টিকা সনদধারী হতে হবে: বিদেশ থেকে আগত যাত্রীসহ সবাইকে বাধ্যতামূলক কোভিড-১৯ টিকা সনদ প্রদর্শন ও Rapid Antigon Test করতে হবে; স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালন এবং মাস্ক পরিধানের বিষয়ে সকল মসজিদে জুমার নামাজের খুতবায় ইমামগণ সংশ্লিষ্টদের সচেতন করবেন। সকল ধরণের করোনার টিকা এবং বুস্টার ডোজ গ্রহণ ত্বরান্বিত করার লক্ষ্যে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় প্রয়োজনীয় প্রচার করবে। কোভিড আক্রান্তদের হার ক্রমস্বয়ে বৃদ্ধি পাওয়ায় উম্মুক্ত স্থানে সকল প্রকার সামাজিক, রাজনৈতিক, ধর্মীয় অনুষ্ঠান এবং সমাবেশ পরিবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ রাখতে হবে। কোন এলাকার ক্ষেত্রে বিশেষ কোন পরিস্থিতির সৃষ্টি হলে সেখানে স্থানীয় প্রশাসন সংশ্লিষ্টদের সাথে আলোচনা করে ব্যবস্থা নিতে পারবে।
বিধিনিষেধ অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।