ফস্টার ও কিউকমের যৌথ স্বাক্ষরে প্রাথমিকভাবে ৬ হাজার ৭২১টি অর্ডারের বিপরীতে গ্রাহকের ৫৯ কোটি ৫ লাখ ১০ হাজার ৩৪৭ টাকা ফেরত দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়।
পেমেন্ট গেটওয়ে ফস্টার করপোরেশন লিমিটেডে আটকে থাকা টাকা ছাড়ের প্রক্রিয়া শুরুর পর গতকাল মঙ্গলবার পর্যন্ত ৯ দিনে ১৫ কোটি টাকা হাতে পেয়েছেন কিউকম ডটকমের গ্রাহকরা।
সবশেষ ১ ফেব্রুয়ারি ৭০২ গ্রাহকের অনুকূলে ৬ কোটি ৮৩ লাখ ৩২ হাজার ৭৯৭ টাকা মোবাইল ব্যাংকিং নগদের মাধ্যমে ছাড় করা হয়।
গত ২৪ জানুয়ারি বাণিজ্য মন্ত্রণালয় আয়োজিত একটি অনুষ্ঠান থেকে টাকা ছাড়ের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়।
গেটওয়েটিতে আটকে রয়েছে ৩৯৭ কোটি টাকা। এর মধ্যে গ্রাহকদের অন্তত ১৬৬ কোটি টাকা রয়েছে।
ফস্টার ও কিউকমের যৌথ স্বাক্ষরে প্রাথমিকভাবে ৬ হাজার ৭২১টি অর্ডারের বিপরীতে গ্রাহকের ৫৯ কোটি ৫ লাখ ১০ হাজার ৩৪৭ টাকা ফেরত দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়।
এ উদ্যোগের অংশ হিসেবে উদ্বোধনী দিনে চিহ্নিত তালিকা থেকে ২০টি অর্ডারের বিপরীতে গ্রাহকের ৪০ লাখ ২ হাজার ৪২৩ টাকা ছাড় করা হয়। দ্বিতীয় দিনে ৫৩ গ্রাহকের অর্ডারের বিপরীতে ৯০ লাখ ৪৮ হাজার ৮২৮ টাকা ফেরত দেয়া হয়।
ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে সে টাকাগুলো গ্রাহকের কাছে অনলাইনে পেমেন্টে দেয়া হয়।
৩১ জানুয়ারি সোমবার ‘নগদ’-এর মাধ্যমে ফেরত দেয়া হয় ৪ কোটি ১৬ লাখ ৭৪ হাজার ৪২৪ টাকা।
এ প্রসঙ্গে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (অভ্যন্তরীণ বাণিজ্য ও আমদানি) এবং ডিজিটাল কমার্সের প্রধান কর্মকর্তা এ এইচ এম সফিকুজ্জামান বলেন, সবশেষ মঙ্গলবার ৭০২টি চিহ্নিত অর্ডারের বিপরীতে ৬ কোটি ৮৩ লাখ ৩২ হাজার ৭৯৭ টাকা নগদ মোবাইল ব্যাংকিংয়ে ছাড় করা হয়। টাকা ছাড় শুরুর পর এখন পর্যন্ত ১৫ কোটি টাকা গ্রাহককে দেয়া হয়েছে। এটি অব্যাহত থাকবে।
অপেক্ষায় থাকা গ্রাহকদের তিনি ধৈর্য রাখার পরামর্শ দেন।
দেশে ই-কমার্স খাতে একের পর এক বিভিন্ন প্রতারণা উদঘাটনের পর বিভিন্ন গেটওয়ের কাছে সংশ্লিষ্ট ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান গ্রাহকদের যেসব টাকা আটকে রয়েছে, তার মধ্যে কিউকম গ্রাহকের টাকা ফেরত দেয়ার প্রক্রিয়াটিই প্রথম শুরু হয়।