খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের (কেএমপি) তিন কর্মকর্তা আইজি’জ ব্যাজ পেয়েছেন। বিচক্ষণতা, সাহসীকতা ও বীরত্বপূর্ণ কাজের স্বীকৃতিস্বরুপ তারা এই আইজি’জ ব্যাজ লাভ করেন।
পদকপ্রাপ্তরা হচ্ছেন, ডেপুটি পুলিশ কমিশনার (উত্তর) মোল্লা জাহাঙ্গীর হোসেন, গোয়েন্দা বিভাগের পুলিশ পরিদর্শক(নিঃ) সমীর কুমার সরকার এবং সোনাডাঙ্গা মডেল থানার এসআই(নি:) রহিত কুমার সরকার।
বুধবার (২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে তাদের হাতে আইজি’জ ব্যাজ তুলে দেন কেএমপি কমিশনার মোঃ মাসুদুর রহমান ভূঞা।
কেএমপি সূত্রে জানা যায়, ২০২০ সালে কেএমপি’র ডেপুটি পুলিশ কমিশনার (উত্তর) মোল্লা জাহাঙ্গীর হোসেন এর কৃতিত্বপূর্ণ, কর্তব্যনিষ্ঠা, মানবিকতা এবং দক্ষতার সাথে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীতে প্রশংসনীয় অবদান রাখার স্বীকৃতি স্বরূপ “আইজি’জ ব্যাচ” পুরস্কারে ভূষিত হয়েছে। তিনি চাঞ্চল্যকর খুনসহ ডাকাতি ও গণধর্ষণ মামলার রহস্য উদঘাটন, অত্যন্ত বুদ্ধিমত্তার সাথে রাষ্ট্রায়ত্ব পাটকল শ্রমিক আন্দোলন শান্তিপূর্ণভাবে মোকাবিলা এবং কোভিড-১৯ প্রাদুর্ভাব রোধে প্রশংসনীয় ভূমিকা পালন করার স্বীকৃতি স্বরূপ “আইজি’জ ব্যাচ” পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন।
কেএমপি’র গোয়েন্দা বিভাগের পুলিশ পরিদর্শক(নিঃ) সমীর কুমার সরকার ২০২১ সালে ক্লুলেস হত্যা মামলার আসামি গ্রেফতার পূর্বক রহস্য উদঘাটন, বিপুল পরিমান মাদকদ্রব্য উদ্ধার, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন এবং বাংলাদেশ পুলিশের ভাবমূর্তী উজ্জ্বল করার স্বীকৃতি স্বরূপ তাকে “আইজি’জ ব্যাচ” পুরস্কারে ভূষিত হয়েছে।
এছাড়া কেএমপি’র সোনাডাঙ্গা মডেল থানার এসআই(নি:) রহিত কুমার সরকার ২০২০ সালে নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন “জেএমবি” দলের সদস্যদের গ্রেফতার, সাহসীকতা, সেবামূলক কাজ ও শৃঙ্খলামূলক আচরণের মাধ্যমে প্রশংসনীয় অবদান এবং বীরত্বপূর্ণ কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ তাকে আইজি’জ ব্যাচ পুরস্কারে ভূষিত করা হয়েছে।
পুলিশ সদর দপ্তর সূত্রে জানা যায়, কর্মক্ষেত্রে সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্বপালন, বাহিনীর মর্যাদা বেড়েছে এমন কার্যক্রমের পাশাপাশি বিভিন্ন ভালো কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ প্রতি বছর পুলিশ সপ্তাহে আইজিপি ব্যাজে মনোনীত পুলিশ কর্মকর্তা ও সদস্যদের এই পদক দেওয়া হয়।
এছাড়া যারা আইনশৃঙ্খলা রক্ষা, জননিরাপত্তা বিধান, জনসেবামূলক কার্যক্রম, মামলার রহস্য উদঘাটন, ভালো পুলিশিং, সরকারি ও ব্যক্তিগত কাজের মাধ্যমে পুলিশ বাহিনীর ভাবমূর্তি বাড়ানোসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কাজে অবদান রাখেন তাদের এই পদকের জন্য নির্বাচিত করা হয়।
ব্যাজ পাওয়া কর্মকর্তাদের পুলিশ সপ্তাহে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দেওয়ার কথা থাকলেও করোনার কারণে এবার নিজ-নিজ দপ্তরে পৌঁছে দেওয়া হয় এই ব্যাজ। ব্যাজ পদকের পাশাপাশি প্রত্যেককে আর্থিক পুরস্কারও দেওয়া হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম) এসএম ফজলুর রহমান, বিশেষ পুলিশ সুপার (সিটিএসবি) রাশিদা বেগম পিপিএম-সেবা এবং ডেপুটি পুলিশ কমিশনার (সদর) মোহাম্মদ এহ্সান শাহ্।