এ এইচ নান্টু :: বাগেরহাটের রামপাল উপজেলায় ১২৮ টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ৩৪ জন প্রধান শিক্ষকের ও ৫৭ জন সহ শিক্ষকের পদ দীর্ঘদিন ধরে শূন্য রয়েছে। করোনার অতিমারি ও প্রশাসনিকভাবে নতুন নিয়োগ ও বদলী না থাকায় এমন সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।
রামপাল উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. মতিউর রহমান জানান, এ উপজেলায় ১২৮ টি বিদ্যালয়ের মধ্যে ৬৯৭ জন শিক্ষকের পদের বিপরীতে ৬০৬ জন কর্মরত আছেন। এর মধ্যে সোমা রানী পাল নামের এক শিক্ষিকা গত ২০১৯ সাল থেকে কোন কারণ ছাড়াই অনুপস্থিত রয়েছেন। হাওলাদার জাকির হোসেন নামের অপর একজন সহ শিক্ষক বরখাস্ত হয়েছেন। ৬৯৭ জন শিক্ষকের মধ্যে প্রধান শিক্ষকের বিপরীতে শূন্য পদ রয়েছে ৩৪ টি। সাধারণ শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে ৫৭ টি। জনবল নিয়োগ ও বদলী বন্ধ জনিত কারনে এমন অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে তিনি মত প্রকাশ করেন। তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, নিয়োগ ও বদলী শুরু হলে এ সমস্যার সমাধান সম্ভব হবে।
খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে উপজেলার চাকশ্রী স. প্রাথমিকে দুই জন সহ শিক্ষক নেই। এমন বিদ্যালয় আছে বারুইপাড়া সপ্রবি, বড় কাটালী সপ্রবি, ফুলপুকুরিয়া সপ্রবি, দক্ষিণ বেতকাটা সপ্রবি, কালেখারবেড় সপ্রবি ও ছোট ডাকরা সপ্রবি। এ ছাড়াও রাজনগর কালিকা প্রসাদ স. প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তিন জন সহ শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে।
বিষয়ে রামপাল উপজেলা উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটির সভাপতি মহিউদ্দিন শেখ বলেন, শূন্য পদের বিপরীতে জনবল বাড়াতে হবে। পুরোদমে বিদ্যালয়ে পাঠদান শুরু হলে শিক্ষক সংকটের কারণে শিক্ষা কার্যক্রম ব্যহত হবে বলে মত দেন তিনি। এ জন্য তিনি সংশ্লিষ্ট উর্ধতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।
এ ব্যপারে রামপাল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. কবীর হোসেন এর দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি জানান, আপনারা জানেন যে, করোনার অতিমারীর কারণে আমরা একটি সংকট সময় পার করছি। আশা করি করোনা সংক্রমণ কমে গেলে আল্লাহর রহমতে এমন সমস্যার দ্রুত সমাধান সম্ভব হবে। আমরা আমাদের সোনামনিদের শিক্ষা কার্যক্রম যাতে ব্যহত না হয় এ জন্য কাজ করছি, আমাদের সংশ্লিষ্ট দপ্তরের সকলে মনিটরিং করছে।