বঙ্গোপসাগরে ঝড়ের কবলে পড়ে নিহত ৬ জেলের পরিবারকে আর্থিক ও খাদ্য সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বাগেরহাটের কচুয়া উপজেলার বগা প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে অসহায় পরিবারের হাতেনগদ টাকার চেক ও খাদ্য সামগ্রী তুলে দেন কচুযা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নাজমা সরোয়ার। এসময় কচুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জিনাত মহল, উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি অধ্যক্ষ সাইফুল ইসলাম খোকন, আওয়ামী লীগ নেতা শিকদার কামরুল হাসান কচি, কচুয়া উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান হাজরা সেলিম রেজা, কচুয়া সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শিকদার হাদিউজ্জামান, ধোপাখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ মকবুল হোসেন, কচুয়া প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক কাজী সাইদুজ্জামানসহ স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
এদিন নিহত প্রত্যেক পরিবারকে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ২০ হাজার এবং বাগেরহাট-২ আসনের সংসদ সদস্য শেখ তন্ময়ের পক্ষ থেকে ১০ হাজার টাকা প্রদান করা হয়। এছাড়াও স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে চাল, ডাল, তেলসহ নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রী প্রদান করা হয়।
নিহত মোঃ শহিদুল ইসলামের পক্ষে অহিদা বেগম, মোঃ ইয়াকুব বাওয়ালীর পক্ষে কাকলী আক্কার, মোঃ মহিদুল ইসলামের পক্ষে মোর্শেদা বেগম, মোঃ আনোয়ার হোসেনের পক্ষে রাশিদা বেগম, মোঃ রুহুল আমিন হাওলাদারের পক্ষে মোসাঃ রুমিচা বেগম এবং নিকোজ আবু বক্কর মোল্লার পক্ষে লামিয়া বেগম নগদ টাকার চেক ও খাদ্য সহায়তা গ্রহন করেন।
৪ ফেব্রুয়ারি রাতে সাগরে মাছ ধরার সময় আকষ্মিক ঝড়ের কবলে পড়ে সুন্দবনের দুবলার শুকটি পল্লী এবং উপকূলীয় এলাকার অন্তত ২১টি ট্রলার ডুবে যায়। বুধবার দুপুর পর্যন্ত ৮ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এর মধ্যে কচুয়া উপজেলার বগা গ্রামের নিহত ৪ জন, আন্ধারমানিক এলাকার ১জন এবং বগা এলাকার নিখোজ একজনকে সহযোগিতা প্রদান করা হয়েছে। এখনও দুইজন জেলে ও ৩টি ট্রলার নিখোজ রয়েছে বলে জানিয়েছেন বঙ্গোপসাগর থেকে ফিরে আসা জেলেরা।