খুলনার চুকনগর ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সভাপতি সম্পাদক সহ ২৭ জনকে কারাগারে প্রেরণ করেছে আদালত। খুলনা জেলা পরিষদের কর্মকর্তা হাসানের দায়ের করা মামলায় বুধবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন চাইলে তাদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন।
উল্লেখ্য, চুকনগর বাজারের যতিন-কাশেম সড়কের জায়গায় ঘর নির্মাণকে কেন্দ্র করে জেলা পরিষদ এবং স্থানীয় ব্যবসায়ীদের দন্দের সূত্রপাত হয়। এক পর্যায়ে গত ৯ ফেব্রুয়ারি অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আমলী আদালত, ডুমুরিয়া, খুলনায় চুকনগর বাজার ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সভাপতি প্রহল্লাদ ব্রহ্ম, সাধারণ সম্পাদক সরদার অহিদুল ইসলাম সহ ৩৩ জনকে আসামি করে জেলা পরিষদের কর্মকর্তা হাসান একটি মামলা দায়ের করেন।
মামলা নং-সি আর ৭৮/২০২২। মামলার আসামিরা হলেন, পার্থ কুমার কুন্ডু, আজহারুল ইসলাম মোড়ল, এম এম সাঈদুর রহমান, রফিকুল ইসলাম, তবিবুর রহমান মোড়ল, রিয়াদ মোড়ল, আতাউর রহমান, প্রহল্লাদ ব্রহ্ম, অহিদুল সরদার, বিশ্বাস আফসার আলী, দুলাল কৃষ্ণ পাল, অশিত কুমার পাল, বিধান তরফদার, পুলিন বিহারী পাল, অশোক রায়, খাদিজা বেগম, আজিজুল হক সরদার, বিল্লাল হোসেন সরদার, আশরাফ আলী সরদার, মোঃ মনিরুল হক, মোঃ নজিবর মোড়ল, মোঃ সিরাজ উদ্দিন সরদার, রেজাউল করিম সরদার, মোঃ আব্দুল্লাহ মোড়ল, মোঃ আব্দুল আলীম শেখ, তৈয়েবুর রহমান, আতাউর রহমান মোড়ল, মোঃ ফিরোজ উদ্দিন, বৈদ্যনাথ কুন্ডু, শেখ আনোয়ারুল কবির, জাহিদুর রহমান, কবির হোসেন ডাবলু এবং শরিফুল সরদার।
উক্ত মামলায় বুধবার ৩২জন আসামি আদালতে হাজির হয়ে জামিন প্রার্থনা করলে আদালত এম এম সাঈদুর রহমান, বিশ্বাস আফসার আলী, অশিত কুমার পাল, খাদিজা বেগম এবং মনিরুল হকের জামিন মঞ্জুর করে বাকি ২৬ জনকে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন। মামলার পুলিন বিহারী পাল অনুপস্থিত ছিলেন।
এদিকে আটককৃতদের মুক্তির দাবিতে বুধবার রাত ৮ টায় যতিন-কাশেম সড়কে এক জরুরি সভায় মিলিত বাজারের সকল পর্যায়ের ব্যবসায়ীবৃন্দ। সভায় কাল বৃহস্পতিবার(১৭ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত চুকনগর বাজারের সকল ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।