যশোরের আলোচিত ইয়াসিন আরাফাত ওরফে ইয়াসিন হত্যার ঘটনায় কোতোয়ালি থানায় মামলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) রাতে নিহতের স্ত্রী শাহানা আক্তার নিশা নয়জনকে অভিযুক্ত করে মামলাটি দায়ের করেছেন।
হত্যার সাথে জড়িত আরও দুই আসামিকে পুলিশ আটক করেছে ও হত্যায় ব্যবহৃত গাছি দা, চাকু ও চাপাতি উদ্ধার করেছে। কোতোয়ালি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তাজুল ইসলাম মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলার আসামিরা হলো, যশোর শহরের শংকরপুর চোপদারপাড়ার তোরাব আলীর তিন ছেলে মোস্তাফিজুর রহমান রানা ওরফে স্বর্ণকার রানা (৩৮), রুবেল হোসেন (৩৫) ও হাফিজুর রহমান (২৩), একই এলাকার রেজাউল ইসলামের ছেলে আব্দুল কাদের ওরফে শান্ত (২৮), শংকরপুর কবরস্থান এলাকার খবির আলী সিকদারের ছেলে জীবন সিকদার (৩৮), সৈয়দ আহম্মদের ছেলে শফিক (৩৭), আকবরের মোড় এলাকার ময়না (৩৮), আব্দুল লতিফের ছেলে বদিউজ্জামান ধনি (৫৩) ও আকবর আলীর ছেলে শফিকুল ইসলাম (৩৫)। এছাড়া অজ্ঞাত আরও ৫/৬ জনকে আসামি করা হয়েছে।
এদের মধ্যে গত দু’দিনে পুলিশ চার জনকে আটক করেছে। এরা হলো, তোরাব আলীর তিন ছেলে মোস্তাফিজুর রহমান ওরফে স্বর্ণকার রানা, রুবেল হোসেন ও হাফিজুর রহমান, একই এলাকার ভাড়াটিয়া ও পাবনার ইশ্বরদি উপজেলার পিয়ারপুর গ্রামের রেজাউল ইসলামের ছেলে আব্দুল কাদের শান্ত।
পুলিশ জানায়, হাফিজুর ও শান্তকে বৃহস্পতিবার রাতে খুলনার শিরোমনি এলাকা থেকে আটক করা হয়েছে। পরে তাদের স্বীকারোক্তিতে শুক্রবার রাত ১টা ৫ মিনিটে শংকরপুর চাতালের মোড় থেকে তাদের ফেলে রাখা দুটি বার্মিজ চাকু উদ্ধার করা হয়। রাস্তার পাশের একটি ড্রেন থেকে হাফিজুরের ব্যবহৃত গাছি দা ও শান্তর ব্যবহৃত একটি চাপাতি উদ্ধার করা হয়। এ মামলায় শুক্রবার দুপুরে হাফিজুর ও শান্তকে যশোর আদালতে সোপর্দ করা হয়। বাকি দু’জন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে।
শাহানা আক্তার মামলায় উল্লেখ করেছেন, আসামিদের সাথে তার স্বামী ইয়াসিনের বিরোধ ছিলো। এ কারণে আসামিরা ইয়াসিনকে হত্যার হুমকি দিতো। ঘটনার দিন ১৬ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যার পরে ইয়াসিন বাসা থেকে বের হয়ে শংকরপুর ব্রাদার্স ক্লাবে যান। এসময় আসামিরা তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করেন। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন।