চ্যানেল খুলনা ডেস্কঃভাদ্রের হালকা বৃষ্টিতে তলিয়েছে খুলনা শহরের নিম্নাঞ্চলের বসতঘর ও রাস্তা-ঘাট। গতকাল রবিবার বিকেল সাড়ে ৩টা থেকে সাড়ে ৫টা পর্যন্ত থেমে থেমে ৪২ মিলিমিটার আর সকালে এক মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে খুলনায়। বৃষ্টিতে ছন্দপতন হয়েছে খুলনাবাসীর স্বাভাবিক জীবনধারা আর ভোগান্তিতে পড়েন ঘরমুখো শ্রমজীবী মানুষ। এর আগে, গত ১৬ আগস্ট দিবাগত রাত থেকে ১৭ আগস্ট সকাল ৯টা পর্যন্ত ১১৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছিল।
খুলনা আঞ্চলিক আবহাওয়া অধিদপ্তরের ইনচার্জ আবহাওয়াবিদ মোঃ আমিরুল আজাদ বলেন, “রবিবার সকালে এক মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়; আবার বিকেল সাড়ে ৩টা থেকে সাড়ে ৫টা পর্যন্ত ৪২ মিলিমিটার মোট ৪৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। সোমবারও হালকা বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। মৌসুমী বায়ু সক্রিয় থাকায় খুলনাঞ্চলে বৃষ্টিপাত হয়েছে।” আবহাওয়া অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে দেখা গেছে-রবিবার খুলনায় ৪৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
এদিকে, বৃষ্টিতে রাস্তাঘাট তলিয়ে যাওয়ায় রাস্তায় সাধারণ মানুষের আনাগোনা খুবই কম। ঘরমুখী মানুষেরা জলাবদ্ধতার কারণে রিকশা বা ইজিবাইক না পেয়ে গন্তব্যে পৌঁছাতে হিমশিম খেতে হয়। বৃষ্টিতে নগরীর রয়্যাল মোড়, শান্তিধাম মোড়, বাইতি পাড়া, তালতলা, মডার্ন ফার্নিচার মোড়, পিকচার প্যালেস মোড়, পিটিআই মোড়, সাতরাস্তার মোড়, শামসুর রহমান রোড, আহসান আহমেদ রোড, দোলখোলা, টুটপাড়া, নিরালা, বাগমারা, মিস্ত্রিপাড়া, ময়লাপোতা, শিববাড়ি মোড়, বড় বাজার, মির্জাপুর রোড, খানজাহান আলী রোড, খালিশপুর মেঘার মোড়, বাস্তুহারা কলোনী, দৌলতপুর, নতুন বাজার, পশ্চিম রূপসা, রূপসা স্ট্যান্ড রোড, সাউথ সেন্ট্রাল রোড, বাবুখান রোড, লবণচরা বান্দাবাজারসহ প্রায় সব এলাকার রাস্তায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। এসব এলাকার অনেক ঘরবাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে পানি উঠে যায়। নিম্নাঞ্চলের বস্তি ঘরগুলোতে দেখা গেছে হাটুপানি। অনেক এলাকার ভবনের নিচতলা পানিতে ডুবে গেছে।
একাধিক পথচারী বলেছেন, অপরিকল্পিত ড্রেনেজ ব্যবস্থা, ময়লা-আবর্জনা, খাল ভরাট ও অবৈধ দখলসহ নানা কারণে সামান্য বৃষ্টিতে নগর জুড়ে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। এতে দুর্ভোগের শিকার হন নগরবাসী। অপরদিকে, বৃষ্টি ও জলাবদ্ধতার কারণে রিকশা ও ইজিবাইক চালকরা যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করছে বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে।