নগরীর সোনাডাঙ্গায় ১১ বছরের শিশু শুভ হাওলাদার হত্যা ঘটনায় মোঃ জাহিদ(১৮) কে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৬ সদস্যরা। জাহিদ সোনাডাঙ্গার ময়লাপোতা বস্তির ইউসুফ বেপারীর ছেলে।
সোমবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় র্যাবের মিডিয়া উইং এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়।
গত ২০ ফেব্রুয়ারি সকাল সাড়ে ৮টার দিকে সোনাডাঙ্গার হাফিজ কমিশনারের বাড়ির ভাড়াটিয়া ইব্রাহিম হাওলাদার ও ঝুমুর বেগমের ছেলে শুভ হাওলাদার (৯), তাঁর খালার বাড়িতে খেলা করার জন্য যায়। সেখান থেকে সে ময়লাপোতা বস্তির দিকে খেলতে যাওয়ার পর যথাসময়ে নিজ বাড়িতে ফেরত না আসায় ভিকটিমের পরিবার তাকে খোঁজাখুঁজি করতে থাকে। অতঃপর একই দিন সাড়ে ১২টার দিকে সোনাডাঙ্গা আবাসিক ২য় ফেজ, রোড নং-১৪, হোল্ডিং নং-৩৭, এর পিছনে খালি প্লট নং-৩৬ এর হোল্ডিং নং-৩৭ এর সীমানা প্রাচীরের পাশে ঝোপের মধ্যে ভিকটিম এর লাশ স্থানীয় লোকজন দেখতে পায়। বিষয়টি জানতে পেরে ভিকটিমের খালা নাজমিন ঘটনাস্থলে গিয়ে তার বোনের সন্তান শুভ হাওলাদার এর লাশ বলে শনাক্ত করে। এ ঘটনায় শুভর মা ঝুমুর বেগম বাদী হয়ে ৭জনের নামে খুলনার সোনাডাঙ্গা মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে।
হত্যার পর থেকেই র্যাব-৬ ঘটনার মূল রহস্য উদঘাটনের লক্ষ্যে ছায়া তদন্ত শুরু করে। এরই ধারাবাহিকতায় ২০ ফেব্রুয়ারি র্যাব-৬ (স্পেশাল কোম্পানি) খুলনার একটি চৌসক আভিযানিক দল গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, চাঞ্চল্যকর “শুভ হাওলাদার হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামী মোঃ জাহিদ সোনাডাঙ্গা থানা এলাকায় আত্নগোপন করে আছে। আভিযানিক দলটি একই তারিখ রাত সাড়ে ৯টার দিকে সোনাডাঙ্গা থানার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ময়লাপোতা মেথরপট্টি কমান্ডার গলি থেকে জাহিদকে গ্রেফতার করে। পরে তাঁকে সোনাডাঙ্গা থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
এদিকে মাদক ব্যবসার তথ্য জেনে ফেলায় নির্মম হত্যার শিকার হয়েছে শিশু শুভ বলে স্থানীয়রা অভিযোগ করেছে। এ ঘটনার জের ধরে বিক্ষুদ্ধ এলাকাবাসী ময়লাপোতা বস্তিতে মাদক ব্যবসায়ীদের বাড়িতে হামলা চালিয়েছে। তারা অবিলম্বে মাদক কারবারীদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবি জানিয়েছে।