শেখ মাহতাব হোসেন :: খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলায় চলতি মৌসুমে গমের বাম্পার ফলন পেয়েছেন চাষিরা। বিঘাপ্রতি ফলন পাওয়া যাচ্ছে ১২ থেকে ১৫ মন, বাজার দরও ভালো। আর তাই গম চাষিদের মুখে হাসিও ফুটেছে।
তবে উৎপাদন খরচ কমানোর জন্য সার-বীজসহ অন্যান্য কৃষি উপকরণের দাম কমানোর দাবি জানিয়েছেন কৃষকরা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ডুমুরিয়ার মাঠে মাঠে এখন পাকা গম ক্ষেত যেন সোনালী আভা। চাষিরা ব্যস্ত ক্ষেত থেকে ফসল ঘরে তুলতে। চলছে গম কাটা ও মাড়াই কাজ।
চাষিরা জানায়, আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবছর গমের ফলন ভালো হয়েছে। বিঘা প্রতি ১২ থেকে ১৫ মন করে ফলন পাওয়া যাচ্ছে। বর্তমানে গমের বাজার দর ৮০০ থেকে ৮৫০ টাকা টাকা মন।
কৃষকরা বলছেন, সার-বীজসহ অন্যান্য কৃষি উপকরণের দাম কমাতে পারলে তাদের জন্য গম চাষ আরও সহজ ও লাভজনক হয়ে উঠবে।
উপজেলার টিপনার মাঠের গম চাষি মন্জুর শেখ বলেন, এবছর আমি ১বিঘা জমিতে গমের বাম্পার ফলন পেয়েছি।
এর আগে গম চাষ করে প্রতি বিঘায় ১১ মনের বেশি পায়নি। এ বছর ১৫ মন করে ফলন পেয়েছি। তিনি বলেন, বর্তমানে দামটা মন্দ না, কিন্তু সার-বীজ, কীটনাশক, হালচাষ, সেচের খরচটা বেশি হচ্ছে। আমাদের উৎপাদন খরচ কম হলে ভালো হতো।
ডুমুরিয়া উপজেলার বরাতিয়ার মাঠের গম চাষি নবদ্বিপ মল্লিক বলেন, এবার আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় গমের আবাদ ভালো হয়েছে। তার ৩ বিঘা জমিতে গম পেকে গেছে। কয়েকদিনের মধ্যে গম কাটা শুরু করবেন। আশা করছেন বিঘায় ১৫ মন করে ফলন পাওয়া যাবে।
উপজেলার রাজাপুরএলাকার গম চাষি আব্দুল মান্নান আমজাদ হোসেন, ও জাকির খান বলেন, এবছর আবহাওয়া ভালো থাকায় গমের ফলন খুব ভালো হয়েছে। বিঘাতে ১৪ থেকে ১৫ মন করে ফলন পাওয়া যাচ্ছে। বর্তমানে গমের বাজার দর ৮৫০টাকা মন। দাম ভালো আছে, তবে উৎপাদন খরচ কমলে গমচাষ ভালো লাভজনক হবে। ডুমুরিয়া উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মোঃ মোছাদ্দেক হোসেন জানান, এবার খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলা ১৪টি ইউনিয়নে ১০ হেক্টর জমিতে গম আবাদ হয়েছে। চাষিরা বারি গম- ৩১, ৩২ ও ৩৩ জাতের গমের আবাদ করেছে।
তিনি আরো বলেন, গম চাষে উদ্বুদ্ধ করে ১০ হেক্টর ৫৫ জন চাষিকে বিনামূল্যে বীজ ও সার দেয়া হয়েছে। ৩৩টি প্রদর্শনী প্লট করা হয়েছে। বর্তমানে গম কাটাই মাড়াই চলছে। ‘আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় গত বছরের তুলোনায় চাষিরা এবার ফলন ভালো পেয়েছেন। গমের বাজার মূল্য ভালো থাকায় তারা গম চাষে আগ্রহী হয়ে উঠবেন।