শনিবার সকাল ১০টার সময় তালা উত্তরণ আইডি, আরটি ময়দানে কেন্দ্রীয় ভূমি কমিটির সভাপতি এ্যড: আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সভায় স্বাগতম বক্তব্য ও প্রধান আলোচক উত্তরণ পরিচালক শহিদুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় ভূমি কমিটির সাধারণ সম্পাদক এ্যড:পুলিন ব্যাহারী সরকার,খুলনা জেলা ভূমি কমিটির সহ-সভাপতি শ্যামল সিংহ, সাতক্ষীরা জেলা ভূমি কমিটির সভাপতি আনিচুর রহিম, খুলনা জেলা ভূমি কমিটির সাধারণ সম্পাদক বিশিষ্ট সাংবাদিক গৌরঙ্গ নন্দী, সাতক্ষীরা জেলা ভূমি কমিটির সাধারণ সম্পাদক আজাদ হোসেন, বিশাল, কেন্দ্রীয় ভূমি কমিটির সদস্য, আমিনুর খান বাবু, খুলনা জেলা ভূমি কমিটির সদস্য এ্যড: বাবুল হাওলাদার, বটিয়াঘাটা উপজেলা ভূমি কমিটির সভাপতি নিত্যাই গাইন,আশাশুনি উপজেলা ভূমি কমিটির সভাপতি রফিকুল ইসলাম, তালা উপজেলা ভূমি কমিটির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাষ্টার আলাউদ্দিন জোয়ার্দার,ডুমুরিয়া উপজেলা ভূমি কমিটির সভাপতি শেখ সেলিম আক্তার, দেবহাঁটা উপজেলা ভূমি সভাপতি ওহাবআলী সরদার, দেবহাটা উপজেলা ভূমি কমিটির সভাপতি আমজাদ হোসেন, শ্যাম গর ভূমি কমিটির সভাপতি আশেক এলাহী, ডুমুরিয়া উপজেলা ভূমি কমিটির সাধারণ সম্পাদক শেখ মাহতাব হোসেন,তালা উপজেলা ভূমি কমিটির সাধারণ সম্পাদক অচিন্ত্য দাস, বটিয়াঘাটা উপজেলা ভূমি কমিটির সদস্য হাদিউজ্জামান, কালিগঞ্জ উপজেলা সহ-সভাপতি এলাহী, বটিয়াঘাটা উপজেলা ভূমি কমিটির সাধারণ সম্পাদক মইনুল ইসলাম, অনুষ্ঠান সার্বিক সঞ্চালনা করেন মোঃ মনির হোসেন জমাষ্টপ্রসপ্রপ্রস্ত নার্দার।
আলোচনার পূর্বে পেষ্টুন উড়িয়ে সম্মেলন সুচনা হয়।
ব্রিটিশ শাসনের আগে ভারতবর্ষে জমি কোন বিক্রয়যোগ্য পণ্য ছিল না এবং তখন জমি কেনা বেচা করা যেত না। একারণে জমি তখন কৃষকদের নিয়ন্ত্রণে ছিল। ব্রিটিশ আমলে, রাষ্ট্র সমস্ত জমির নিয়ন্ত্রণ নেয় এবং জমিদাররাই জমির মালিক হয়ে ওঠে। এভাবে কৃষকরা জমির উপর তাদের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে এবং এক অর্থে তারা ভূমি দাসে পরিণত হয়। দীর্ঘ বিপ্লব ও সংগ্রামের পর ১৮৮৫ সালে প্রজাস্বত্ব আইন পাস হওয়ার পর অবশেষে কৃষকরা তাদের ভূমির অধিকার ফিরে পেয়েছিল। এই সময় জমি আবার কৃষকদের কাছে ফিরে যায়।
কিন্তু জমি তখন বিক্রয়যোগ্য পণ্য হয়ে ওঠে। জমি বিক্রয়যোগ্য পণ্য হওয়ার কারণে অসহায় ও দুর্বল কৃষকরা শক্তিশালী স্থানীয় অভিজাত শ্রেণীর কাছে জমি বিক্রি করতে বাধ্য হতো। কারণ তারা আইন সম্পর্কে সচেতন ছিল না আবার তাদের নির্যাতনেরও ভয় ছিল। অন্যদিকে ভূমি অভিজাত বা জমিদারগণ রাষ্ট্রের পৃষ্ঠপোষকতা পেতো। এইভাবেই ক্ষুদ্র কৃষকরা আরও দুর্বল হয়ে ধীরে ধীরে ভূমিহীন হয়ে পড়ে। ১৯৫০ সালে বাংলায় জমিদারি প্রথা বিলুপ্ত হয় এবং রাষ্ট্র এই বিপুল পরিমাণ জমির উপর নিয়ন্ত্রণ লাভ করে যা বর্তমানে খাসজমি নামে পরিচিত। ১৯৭২ পিও ৯৮/৭২ এর মাধ্যমে বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর রাষ্ট্র ভূমিহীন কৃষকদের মধ্যে কৃষি খাসজমি এবং খাস জলাশয় বিতরণের সিদ্ধান্ত নেয়। ১৯৮৭ সালে সরকার খাসজমি বিতরণ নীতিমালা তৈরী করে। এই নীতিমালার মাধ্যমেই রাষ্ট্র খাসজমি বিতরণের প্রক্রিয়া তুলে ধরে। পরবর্তীতে ১৯৯৭ সালে, খাসজমি বন্দোবস্ত নীতিতে সংশোধন আনা হয়। বর্তমানে ১৯৯৭ সালের নীতিমালা মেনে সরকার ভূমিহীন কৃষকদের মধ্যে খাসজমি বিতরণ করে থাকে। যাদের কোন জমি নেই বা শুধুমাত্র ১০ শতক জমি রয়েছে কিন্তু পরিবারটি কৃষি নির্ভর সরকার তাঁদের মধ্যে জমি বিতরণ করে থাকে।