পদ্মা বহুমুখী সেতুর রক্ষণাবেক্ষণ ও টোল আদায় কার্যক্রম পরিচালনার জন্য কোরিয়া ও চীনের দুই কোম্পানিকে ৫ বছরের জন্য নিয়োগ দিয়েছে সরকার। এতে ব্যয় হবে ৬৯২ কোটি ৯ লাখ টাকা।
বৃহস্পতিবার (৭ এপ্রিল) সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে তাদের নিয়োগের প্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়। অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
অর্থমন্ত্রী বলেন, পদ্মা সেতু তৈরিতে যে ব্যয় করা হয়েছে তা টোল বাবদ আদায় করা হবে। আমরা যা খরচ করেছি তার চেয়ে বেশি লাভ করতে পারব। বিশ্বের অনেক দেশ এটা করে থাকে। রাজস্ব আদায়ের মাধ্যমে অন্যান্য প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন করতে পারব। যে পরিমাণ খরচ হয়েছে সেটা আদায় করতে না পারলে আগাতে পারব না। যারা সেতু ব্যবহার করবে তারাও লাভবান হবে সরকারও লাভবান হবে।
সভা শেষে প্রেস ব্রিফিংয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব জিল্লুর রহমান চৌধুরী। তিনি বলেন, পদ্মা বহুমুখী সেতুর রক্ষণাবেক্ষণ ও টোল আদায় কার্যক্রম পরিচালনার জন্য কোরিয়া এক্সপ্রেসওয়ে করপোরেশন ( কেইসি) এবং চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি লিমিটেডকে ( এমবিইসি) ৫ বছর মেয়াদে ৬৯২ কোটি ৯ লাখ টাকায় নিয়োগের অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, আজকে অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি’র ১০ম এবং সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি’র ১২তম সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত কমিটির অনুমোদনের জন্য ১টি এবং ক্রয় সংক্রান্ত কমিটির অনুমোদনের জন্য ১১টি প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়েছে।প্রস্তাবনাগুলোর মধ্যে শিল্প মন্ত্রণালয়ের ৩টি, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের ২টি, কৃষি মন্ত্রণালয়ের ১টি, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের ১টি, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের ১টি, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের ১টি, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের ১টি এবং সেতু বিভাগের ১টি প্রস্তাবনা ছিল। ক্রয়-কমিটির অনুমোদিত ১১টি প্রস্তাবে মোট অর্থের পরিমাণ ৫,৭৮২ কোটি ৬২লাখ ১১ হাজার ২৭ টাকা। মোট অর্থায়নের মধ্যে জিওবি হতে ব্যয় হবে ৯৭৯ কোটি ৬২ লাখ ৪ হাজার ৯২ টাকা এবং বাকী টাকা দেশীয় ব্যাংক ও এক্সিম ব্যাংক অব চায়না ঋণ দিবে।