ডাক্তারের অবহেলায় রোগীর মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এঘটনায় রোববার (১০ এপ্রিল) পুলিশ দু’জনকে আটক করেছে।
খুলনার দৌলতপুর পাবলা কারিকর পাড়ার মাওলানা আঃ রাজ্জাকের স্ত্রী পিয়ারুন বেগম দীর্ঘদিন নানা রোগে আক্রান্ত ছিলেন। শনিবার রাত সাড়ে ১২ টার দিকে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরিবারের লোকজন রাতে খুলনা মেডিকেলে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসেন।
রাতে একাধিকবার কর্তব্যরত চিকিৎসককে ডাকা সত্বেও চিকিৎসা দিতে আসেনি। রাত তিনটার দিকে কেয়ারুন বেগমের অবস্থা খারাপ হলে ওই চিকিৎসকের রুমে গিয়ে ডাকলেও কোন সাড়াশব্দ দেয়নি। পরে পিয়ারুন বেগমের সন্তান মোঃ মোস্তাকিম বিল্লাহ চেয়ার দিয়ে ডাক্তার কামরুল ইসলামকে মারধর করে।
এ ঘটনায় ওই চিকিৎসকের হাত কেটে যায়। চিকিৎসকের অবহেলায় রোগীর মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারামারির ঘটনা ঘটেছ। এ অভিযোগে পুলিশ দু’ জনকে আটক করেছে। রবিবার দিবাগত রাত তিনটার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
মৃত পিয়ারুন বেগমের ভাইপো মামুন বলেন, নগরীর দৌলতপুর পাবলা কারিকর পাড়ার মাওলানা আঃ রাজ্জাকের স্ত্রী কেয়ারুন বেগম দীর্ঘদিন নানা রোগে আক্রান্ত ছিলেন। শনিবার রাত সাড়ে ১২ টার দিকে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরিবারের লোকজন রাতে খুলনা মেডিকেলে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসেন। রাতে একাধিকবার কর্তব্যরত চিকিৎসককে ডাকা সত্বেও চিকিৎসা দিতে আসেনি। রাত তিনটার দিকে পিয়ারুন বেগমের অবস্থা খারাপ হলে ওই চিকিৎসকের রুমে গিয়ে ডাকলেও গেলে কোন সাড়া শব্দ দেননি। পরে পিয়ারুন বেগমের ছেলে মোঃ মোস্তাকিম বিল্লাহ চেয়ার দিয়ে ডাক্তার কামরুল ইসলামকে মারধর করে। এ ঘটনায় চিকিৎসকের হাত কেটে যায়। রাতে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এলাকায় টান টান উত্তেজনা বিরাজ করে। মৃতের স্বামী ওই চিকিৎসকের কাছে ক্ষমা চাইতে গেলে তাকেও মারধর করে হাসপাতালের লোকজন। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করে। এ অভিযোগে পুলিশ মৃত পিয়ারুন বেগমের দুই সন্তান তরিকুল ইসলাম কাবির ও সাদ্দাম হোসেনকে আটক করে সোনাডাঙ্গা থানায় নিয়ে আসে। তবে লাশ আটকে রাখা হয়েছে বলে তিনি এ প্রতিবেদককে জানিয়েছেন।
সোনাডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ মমতাজুল হক জানান, রাতে পিয়ারুন বেগম নামে এক মহিলা মারা যায়। রোগীর স্বজনরা হাসপাতালে ভাংচুর চালায়। হাসপাতালের চিকিৎসক ও কতৃপক্ষ দু’জনকে আটক রেখে থানায় খবর দেয়। পরে পুলিশ গিয়ে তাদের থানায় নিয়ে আসে।