চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ২ অথবা ৩ মে অনুষ্ঠিত হবে মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর। রোজা ২৯টি হলে ২ মে হবে ঈদ। আর রোজা ৩০টি পূর্ণ হলে ঈদুল ফিতর হবে ৩ মে। এমনিতেই এ বছর পবিত্র ঈদুল ফিতরে ২৯ এপ্রিল থেকে ৪ মে পর্যন্ত টানা ছয় দিনের ছুটি পেতে যাচ্ছেন সরকারি-বেসরকারি চাকরিজীবীরা।
ঈদে সরকারি ছুটি তিন দিনের হলেও ঈদের আগে সাপ্তাহিক ছুটি এবং মে দিবস মিলিয়ে বাড়বে ঈদের ছুটির সংখ্যা। আর কেউ যদি ‘৫ মে’ বৃহস্পতিবার ছুটি নিতে পারেন তাহলে তার ছুটি গিয়ে দাঁড়াবে ৯ দিনে।
ছুটির হিসেবে দেখা যাচ্ছে, ঈদের আগের শুক্রবার হচ্ছে ২৯ এপ্রিল। পরদিন শনিবার ৩০ এপ্রিল। ১ মে রবিবার শ্রমিক দিবসের সরকারি ছুটি। সোম, মঙ্গল ও বুধবার যথাক্রমে ২, ৩ ও ৪ মে ঈদের সরকারি ছুটি মিলে মোট ছুটি দাঁড়াচ্ছে ছয়দিন। এক্ষেত্রে ৫ মে বৃহস্পতিবার কেউ ছুটি নিতে পারলে ৬ ও ৭ মে (শুক্র ও শনিবার) মিলিয়ে তিনি মোট ৯ দিন ঈদের ছুটি কাটাতে পারবেন।
ঈদের পর আগামী ৫ মে ছুটি হবে কিনা, সে বিষয়ে প্রশাসনের কর্মকর্তাদের মাঝে চলছে ব্যাপক আলোচনা। তারা বলছেন, একদিন ছুটি হলে টানা ৯ দিন ছুটি কাটাতে পারবেন তারা। ছুটি বাড়লে ঈদযাত্রায় যানবাহনের চাপ কমানোসহ সবারই সুবিধা।
এছাড়া করোনা পরিস্থিতির কারণে গত দুই বছরে ঈদে কোথাও ঘুরতে যাওয়ারও পরিকল্পনা করতে পারেনি অধিকাংশ পরিবার। তাই আগামী ৫ মে ঈদের ছুটির আওতায় আসবে কিনা, সে বিষয়ে সিদ্ধান্তের জন্য মন্ত্রিসভা বৈঠকে আলোচনা হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।