আসুন আমাদের নেতা তারেক রহমানের নেতৃত্বে রাজপথে দুর্বার আন্দোলনের মধ্য দিয়ে মানুষের মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠা করি, গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা করি। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও মানুষের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য এদেরকে বিদায় করে নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে দেশে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। আসুন রাষ্ট্রটাকে মেরামত করি। নিরপেক্ষ ব্যক্তির নেতৃত্বে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন করে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করি। তাহলেই গণতন্ত্রের মাতা খালেদা জিয়া মুক্ত হবেন এবং বাংলাদেশের জনগণ মুক্ত হবে।
খালিশপুর থানা বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠণের সাবেক নেতৃবৃন্দের আয়োজনে ২৪ রমজান মঙ্গলবার (২৬ এপ্রিল) নগরীর খালিশপুর আপ্যায়ন কমিউনিটি সেন্টারে অনুষ্ঠিত ইফতার ও দোয়া মাহফিল পূর্ব সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।
গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারকে হটাতে শিগগিরই দুর্বার আন্দোলন শুরু হবে বলে জানিয়ে নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতিতে মানুষ দুর্বিষহ জীবনযাপন করছে। কিন্তু সেদিকে সরকারের কোনো নজর নেই, তারা দুর্নীতি ও লুটপাটে ব্যস্ত। সঙ্কট উত্তোরণে এই সরকারকে বিদায় করতে হবে। এই সরকার জনগণের সরকার নয়। সেজন্য অবিলম্বে তাদেরকে পদত্যাগ করতে হবে। সরকারের দুর্নীতি দুঃশাসনের চিত্র তুলে ধরে বলেন, এই সরকারের দুর্নীতি ও দুঃশাসনের কথা এতদিন আমরা বলতাম, এখন দেশ ও বিদেশে সবাই বলে। এই সরকারের লুটপাট, মুদ্রাপাচার, নারীপাচার, মরা মানুষের নামে মামলা, বিদেশে যারা থাকে, তাদের নামে মামলা, আরও কত কী। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উদ্দেশে বলেন, আর জনগণের ওপর জুলুম করবেন না। রাজনৈতিক দলের কণ্ঠরোধ করার চেষ্টা করবেন না। জনগণের টাকায় কেনা গুলি জনগণের বুকে মারবেন না। আপনারা আপনাদের দায়িত্ব সম্পর্কে সচেতন হোন।
ইফতার ও দোয়া মাহফিলে নেতৃবৃন্দ মহান স্বাধীনতার ঘোষক বিএনপি’র প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান, তার কনিষ্ঠপুত্র ক্রীড়া সংগঠক আরাফাত রহমান কোকো, বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা বর্ষিয়ান রাজনীতিক ভাষাসৈনিক এম নূরুল ইসলাম দাদুভাই ও সাবেক সংসদ সদস্য কাজী সেকেন্দার আলী ডালিম, বিএনপি নেতা শেখ আমজাদ হোসেন, সাবেক ছাত্রদল নেতা ওহিদুজ্জামান চঞ্চল ও আবুল কালাম আজাদসহ গণতান্ত্রিক আন্দোলনে দলের প্রয়াত সকল নেতাকর্মীর মাগফেরাত কামনায় বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করেন। একই সাথে বিএনপি চেয়ারপার্সন ‘মাদার অব ডেমোক্রেসি’ সাবেক সফল তিনবারের প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা, কারামুক্তি এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পূর্ণ সুস্থতা ও স্বদেশ প্রত্যাবর্তন এবং ডা. জোবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক মামলা প্রত্যাহার এবং নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি জানান।
ইফতার ও দোয়া মাহফিল উদযাপন কমিটির আহবায়ক বিএনপি নেতা এ্যাডভোকেট ফজলে হালিম লিটনের সভাপতিত্বে এবং উদযাপন কমিটির সদস্য সচিব নিজাম উর রহমান লালু’র পরিচালনায় মাহফিলে দোয়া পরিচালনা করেন মাওলানা ইলিয়াস আলী ও ক্বারী মহিবুল্লাহ।
ইফতার ও দোয়া মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি নেতা শেখ মোশাররফ হোসেন, জাফরউল্লাহ খান সাচ্চু, খায়রুজ্জামান খোকা, মো. মাহবুব কায়সার, অধ্যাপক আরিফুজ্জামান অপু, সিরাজুল হক নান্নু, আসাদুজ্জামান মুরাদ, সাংবাদিক মুন্সি আবু তৈয়ব, ইকবাল হোসেন খোকন, মহিবুজ্জামান কচি, মেহেদী হাসান দিপু, কাজী সফিকুল ইসলাম সফি, ম শ আলম, আবুল কালাম শিকদার, এইচ এম আবু সালেক, তরিকুল্লাহ খান, রফিকুল ইসলাম শুকুর, আশরাফ হোসেন, মহিউদ্দিন টারজান, মো. শামসুর রহমান, মিজানুর রহমান খোকন, আলমগীর হোসেন বাদশা, ইমতিয়াজ আলম বাবু, বদরুল আলম আকু, কাজী ফজলুল কবির টিটু, মনিরুজ্জামান মনি, সায়মুন ইসলাম রাজ্জাক, সেলিম বড় মিয়া, এস এম জসিম উদ্দিন, কাজী ইকরাম মিন্টু, নুরে আব্দুল্লাহ, মো. বারেক হাওলাদার, শাহানাজ পারভিন, মো. ইসমাইল হোসেন, বাবুল মুন্সি, ফজলুর রহমান, আবুল কালাম, শহিদুল্লাহ, সেলিম কাজী, সাইদ মহিউদ্দিন বাবু, সেলিম রেজা, মো. আসাদ, হৃদয় হোসেন, জাফর হাওলাদার, খান মুরাদ আহমেদ, সেলিম আহসান, সৈয়দ গাজী, হারুন অর রশিদ, সায়মুন ইসলাম, মুন্সি আব্দুর রব, আশরাফ হোসেন মোল্লা, মাহবুব হোসেন বাকী, সেলিম খান, মনির হোসেন, তসিব উদ্দিন, জাহাঙ্গীর হোসেন, আশিকুর রহমান প্রমুখ।
এছাড়া ইফতার মাহফিলে খুলনার বিশিষ্ট রাজনীতিক, জনপ্রতিনিধি, সমাজসেবক, ব্যবসায়ী নেতা, খুলনা মহানগর বিএনপির সাবেক নেতৃবৃন্দ, থানা, ওয়ার্ড অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠণের তৃণমূল নেতৃবৃন্দসহ বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।