চুকনগরে ১৯৭১ সালের ২০ মে যে নৃশংস গণহত্যা সংগঠিত হয়েছিল সেই গণহত্যার শিকার খুলনা জেলার বৈঠাঘাটা থানার গাইন পরিবারের ৭জন শহিদ হয়েছিল। তাদের স্মৃতি স্মরণে গাইন পরিবারের পক্ষ থেকে চুকনগর ঐতিহাসিক ভদ্রা নদীর তীরে অবস্থিত কালী মন্দিরের পাশে নাম ফলক স্মৃতি স্থাপন করা হয়। কিন্তু মন্দির কর্তৃপক্ষ স্মৃতি স্তম্ভটি অপসারণ করেন। ফলে মুক্ত চেতনা মানুষের মনে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। এ ব্যাপারে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির খুলনা জেলা সভাপতি শেখ বাহারুল আলম ও সাধারণ সম্পাদক মহেন্দ্র নাথ সেন জানান চুকনগর গণহত্যা বিশ্বের সর্ববৃহৎ গণহত্যা, এর শহিদের স্মৃতিফলক কিংবা স্মৃতি সৌধ সংরক্ষণ অতীব জরুরি। কোনভাবে অপসারণ করা যাবে না। তাহলে আগামী প্রজন্ম চুকনগরের ইতিহাস ভুলে যাবে। তিনি স্মৃতি ফলকটি পুনঃস্থাপনের দাবি জানিয়েছেন। সেই সাথে তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। অন্যদিকে চুকনগর গণহত্যা ৭১ স্মৃতিরক্ষা পরিষদের সভাপতি এবিএম শফিকুল ইসলাম জানান চুকনগরের গণহত্যা ইতিহাস বিরল। নদীর পাড়ে নাম ফলক স্মৃতি অপসারণ নিন্দনীয়। ফলক থাকাতে মন্দিরের অবকাঠামো উন্নয়নের কোন ব্যাহত হত না। বরং দর্শনার্থীরা ইতিহাস সম্পর্কে আরো জানতে পারতো। তিনি শহিদের স্মৃতি ফলক স্থাপনের দাবি করেছেন।