মামলাজট কমাতে সময় আবেদন না করতে আইনজীবীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
তিনি বলেছেন, ‘সিপিসি (দেওয়ানি কার্যবিধি) যখন করা হয়েছিল, তখন প্রযুক্তি এত উন্নত হয়নি। প্রযুক্তির কারণে এখন আমেরিকায় খবর পাঠাতে সময় লাগে কয়েক সেকেন্ড। আমার মনে হয়, অমুকটার জন্য ৪৫ দিন সময় দিতে হবে, অমুকটার জন্য ৬০ দিন সময় দিতে হবে এগুলোর আর প্রয়োজন নেই।’
মন্ত্রী বলেন, আদালতের খরচ বাড়ানো হবে। খরচ বাড়ালে মানুষ চিন্তা করবে যদি তারিখ নিই তাহলে অতিরিক্ত ৫ থেকে ১০ হাজার টাকা লাগবে। তখন আর সময় নিতে চেষ্টা করবে না। আর এটা প্রক্রিয়ার মধ্যে আছে।
আনিসুল হক বলেন, ‘কেবল আমাদের দেশেই নয়, বিশ্বের অন্যান্য দেশেও মামলাজটের সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে। ৪০ লাখের মতো মামলা আছে বলা হয়, আমাদের জনসংখ্যার বিবেচনায় মামলার এই জট কিন্তু তত বলা যাবে না। তবে বলব, এটাও থাকবে কেন?’ মামলাজট থেকে বেরিয়ে আসার জন্য বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তিতে জোর দেন আইনমন্ত্রী।
আজ শনিবার মামলাজট নিরসনে গভর্নমেন্ট প্লিডার (জিপি) ও পাবলিক প্রসিকিউটরদের (পিপি) সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা জানান। বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এই মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে আইনসচিব মো. গোলাম সারওয়ার সভাপতিত্ব করেন।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের দাবি সমর্থন করেন না বলে জানিয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট (নিরাপত্তা আইন) করার পর এর কিছু অপব্যবহার যে হয়নি, তা নয়। প্রযুক্তির উন্নয়নের সঙ্গে কিছু সমস্যারও সৃষ্টি হয়েছে—যেমন সাইবার ক্রাইম। সাইবার ক্রাইমের মতো অপরাধ মোকাবিলা করার জন্যই আমরা ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট করেছি। আগে দেখা যেত, এই আইনে মামলা হলেই সাংবাদিককে গ্রেপ্তার করা হতো। আমি সেখানেও বলেছি, এই মামলা করার সঙ্গে সঙ্গে যেন কাউকে গ্রেপ্তার করা না হয়। আদালত যদি মনে করেন, তাহলে সে রকম ব্যবস্থা নিবে। আর যদি মনে করেন, সমন দিলেই যথেষ্ট, তাহলে সমন দিবেন। তবে ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট বাতিল করে ফেলতে হবে, আমি এটা সমর্থন করি না।’