জনশুমারি ও গৃহগণনা-২০২২ উপলক্ষে খুলনা সিটি কর্পোরেশন (কেসিসি) এর স্থায়ী শুমারি কমিটি ও জরিপ কমিটির এক অবহিতকরণ সভা আজ (সোমবার) দুপুরে সিটি কর্পোরেশনের শহিদ আলতাফ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়। খুলনা বিভাগীয় পরিসংখ্যান অফিস এ সভার আয়োজন করে। এতে সভাপতিত্ব করেন সিটি কর্পোরেশনের ভারপ্রাপ্ত মেয়র মোঃ আমিনুল ইসলাম মুন্না।
ভারপ্রাপ্ত সিটি মেয়র বলেন, দশ বছর পর পর দেশে জনশুমারি করা হয়। কোন ব্যক্তি বা পরিবার যেন গণনা থেকে বাদ না পড়ে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। শুমারির কাজে সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলররা সার্বিক সহায়তা করবেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ডিজিটাল শুমারির ব্যবস্থা করেছেন। এটি বাস্তবায়নে আমাদের কাজ করতে হবে।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, দেশের প্রথম ডিজিটাল ‘জনশুমারি ও গৃহগণনা’ ২০২২ সালের ১৫-২১ জুন সময়ে অনুষ্ঠিত হবে। এ শুমারিতে প্রায় ৩ লক্ষ ৬৭ হাজার গণনাকারী সশরীরে দেশের প্রতিটি বাড়িতে গিয়ে খানা ও ব্যক্তির সামগ্রিক তথ্য-উপাত্ত ডিজিটাল ডিভাইস ট্যাবের মাধ্যমে সংগ্রহ করবেন। ব-দ্বীপ পরিকল্পনা ২১০০, রূপকল্প ২০৪১, অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা, টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট (এসডিজি) অর্জনসহ অন্যান্য উন্নয়ন পরিকল্পনা প্রণয়ন, মূল্যায়ন ও পরিবীক্ষণে ‘জনশুমারি ও গৃহায়ন গণনা ২০২২’ এর তথ্য উপাত্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। খুলনা সিটি কর্পোরেশন এলাকার ৩১ টি ওয়ার্ডকে ১৫ টি জোনে ভাগ করে জরিপ কাজ পরিচালনা করা হবে। সংশ্লিষ্ট এলাকায় ২৮৬ জন সুপারভাইজারের তত্ত্বাবধানে ১৬২৭ জন গণনাকারী এক লাখ একশত ৭১ টি খানায় গিয়ে বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করবেন।
সভায় মূল বিষয়বস্তু উপস্থাপন করেন বিভাগীয় পরিসংখ্যান দপ্তরের যুগ্মপরিচালক মোঃ আশরাফুল আলম সিদ্দিকী। এ সময় কেসিসির প্রধার নির্বাহী কর্মকর্তা লস্কার তাজুল ইসলাম, প্যানেল মেয়র-২ মোঃ আলী আকবর টিপু, প্যানেল মেয়র-৩ অ্যাডভোকেট মেমরি সুফিয়া রহমান শুনু, বীর মুক্তিযোদ্ধা আলমগীর কবির, কাউন্সিলরবৃন্দ ও সরকারি কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।