চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার আন্দুলবাড়ীয়া করচাডাঙ্গা মাঠের একটি ফলজ বাগানের ভিতরে র্যাব সদস্যরা অভিযান চালিয়ে ১৯ টি গাঁজা গাছ উদ্ধার করেন। এ সময় জমির মালিক হোসেন গাজীকে(৬০) গ্রেফতার করেন। সোমবার দুপুরে এ অভিযান পরিচালিত হয়। এ ঘটনায় জীবননগর থানার মাদক আইনে একটি মামলা হয়েছে। গ্রেফতারকৃত হোসেন গাজী একজন তরিকাপন্থি সুফি সাধক। তার কর্মকাণ্ডে তিনি এলাকায় ভন্ড পীর হিসাবর পরিচিত।
র্যাব সুত্রে জানা যায়, জীবননগর উপজেলার করচাডাঙ্গা গ্রামের হোসেন গাজী একজন কথিত তরিকাপন্থি সুফি সাধক। তিনি ঢাকার প্রয়াত পীর সামাদ শাহের ভক্ত ছেলে। তিনি জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে বাড়ী করে বসবাস করেন। তবে তার চাষাবাদ ও তরিকা সাধনার কাজটি মুলত: করচাডাঙ্গা গ্রামেই করে থাকেন। সকাল থেকে দিনভর করচাডাঙ্গা গ্রামেই থাকেন। আবার সন্ধ্যায় জীবননগর শহরের বাড়ী চলে যান। করচাডাঙ্গা মাঠে তার বিভিন্ন ফলজ বাগান রয়েছে। সেই বাগানে অত্যন্ত কৌশলে গাঁজার চাষও শুরু করে। হোসেন গাজী নিজেকে তরিকার একজন কথিত পীর হিসাবে দাবী করলেও তার বিরুদ্ধে শিষ্য-ভক্তদের নিয়মিত গাঁজা সেবনের অভিযোগ রয়েছে। তাকে এলাকাবাসী ভন্ড পীর হিসাবে জানে। তার বিরুদ্ধে ইতিপূর্বেও তার বিরুদ্ধে অনৈতিক কার্যকলাপের অভিযোগ রয়েছে।
এই অবস্থায় সোমবার দুপুরে র্যাব সদস্যরা গোপন সংবাদের ভিত্তিতে করচাডাঙ্গা মাঠে হোসেন গাজীর ফলজ বাগানে অভিযান চালিয়ে ১৯ টি গাঁজার গাছ উদ্ধার করেন। এ সময় হোসেন গাজীকেও আটক করেন। গাঁজার গাছসহ সোমবার বিকালে তাকে র্যাব সদস্যরা জীবননগর থানায় সোপর্দ করেন।
জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল খালেক বলেন, এ ব্যাপারে থানায় মাদক আইনে একটি মামলা হয়েছে।