সারাদেশের ন্যায় বিভাগীয় শহর খুলনায় আজ (বুধবার) ১৫ জুন থেকে ‘জনশুমারি ও গৃহগণনা’ কার্যক্রম শুরু হয়ে আগামী ২১ জুন পর্যন্ত চলবে। এ উপলক্ষ্যে আজ সকালে নগরীর শহিদ হাদিস পার্কে সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভা ও বর্ণাঢ্য র্যালি অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক।
প্রধান অতিথির বক্তৃতায় সিটি মেয়র বলেন, সঠিক তথ্য ও নিভুল জনশুমারির কোন বিকল্প নেই। দেশের উন্নয়ন পরিকল্পনা বাস্তবায়নে এই জনশুমারি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। জাতীয় জনগুরুত্বপূর্ণ কার্যক্রম হিসেবে জনশুমারি ও গৃহগণনায় অন্তর্ভূক্ত হওয়া বাংলাদেশের সকল নাগরিকের দায়িত্ব। তিনি বলেন, সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকার পূরণ ও সমৃদ্ধশালী দেশ গঠনে প্রথম ডিজিটাল জনশুমারি ও গৃহগণনা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। তিনি সকল নাগরিককে প্রয়োজনীয় ও সঠিক তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করার আহবান জানান। সবার চেষ্টা ও স্বত:ষ্ফুর্ত অংশগ্রহণে এই শুমারি সফল হবে বলে তিনি প্রত্যাশা করেন।
অনুষ্ঠানে কেসিসি’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা লস্কার তাজুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট পুলক কুমার মন্ডল প্রমুখ বক্তৃতা করেন। খুলনা বিভাগীয় পরিসংখ্যান কার্যালয়ের যুগ্মপরিচালক মোঃ আশরাফুল আলম সিদ্দিকী এতে সভাপতিত্ব করেন। সরকারের পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের অধীন বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো ‘জনশুমারি ও গৃহগণনা’ কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে।
উল্লেখ্য, জাতির পিতা বঙ্গঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্দেশনায় ১৯৭৪ সালে প্রথম আদমশুমারি ও গৃহগণনা শুরু হয়। এরই ধারাবাহিকতায় প্রতি ১০ বছর পর ১৯৮১, ১৯৯১, ২০০১ এবং ২০১১ সালে যথাক্রমে দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ এবং পঞ্চম আদমশুমারি ও গৃহগণনা অনুষ্ঠিত হয়।
আলোচনা সভা শেষে সিটি মেয়রের নেতৃত্বে শহিদ হাদিস পার্ক থেকে বর্ণাঢ্য র্যালি শুরু হয়ে নগরীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে একই স্থানে এসে শেষ হয়। র্যালিতে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ নেন।