শেখ মাহতাব হোসেন :: খুলনার ডুমুরিয়ার কৃষক সুরেশ্বর মল্লিক । তিনি উপজেলার আটলিয়া ইউনিয়নের বরাতিয়া ক্লকের
গোবিন্দকাটি গ্রামের হতদরিদ্র মৃত অধির মল্লিকের ছেলে এবং বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পুরস্কার প্রাপ্ত বর্গাচাষী কৃষক।
স্থানীয় সুত্রে জানাগেছে, হতদরিদ্র এ কৃষকের পৌত্রিক সুত্রে কোন আবাদ যোগ্য জমি নেই। তিনি এলাকার জমির মালিকদের কাছ থেকে জমি বর্গা নিয়ে বিভিন্ন প্রকার সবজির আবাদ করেছেন।
আর সবজির পুষ্টি ও গুনগত মান ঠিক রাখতে রাসায়নিক কীটনাশক ব্যাতিরেকে বালাই দমনে জৈব বালাই নাশক ব্যাবহার করছেন। এর পাশাপাশি বালাই বিস্তার রোধে ব্যাবহার করছেন সেক্সফেরোমন ফাঁদ।
এই ফাঁদে সাদা টবের নিচের অংশে ভিতরে রয়েছে ডিটারজেন্ট মিশ্রত পানি। উপর অংশ ভিতরে বিশেষ কায়দায় পলিথিন দিয়ে
মুড়িয়ে ঝুলিয়ে দেয়া হয়েছে স্ত্রী পোকার গন্ধ মিশ্রণ পাউডার! ফলে স্ত্রী পোকার আকর্ষনে পুরুষ পোকা দ্রুত টবের ভিতর প্রবেশ করা মাত্র পানির মধ্যে পড়ে মারা যায়। এতে পোকামাকড়ের বংশ বিস্তার রোধে সহায়ক ভুমিকা রাখে।
আর এর ফলে রাসায়নিক কীটনাশক ব্যাবহারের মাত্রা ৭০ শতাংশ হ্রাস পায়। এ পদ্ধতি ব্যবহারের মাধ্যমে বিষ মুক্ত সবজি উৎপাদন করা সম্ভব হবে বলে জানিয়েছেন কৃষক সুরেশ্বর মল্লিকসহ অধিকাংশ কৃষক।
বিষ মুক্ত সবজি উৎপাদন বাড়াতে ডুমুরিয়া উপজেলা কৃষি দপ্তরের দিক নির্দেশনায় কৃষক সুরেশ্বর মল্লিক , নবদ্বীপ মল্লিক , হানিফ মোড়ল,নিউটন মন্ডলসহ উপজেলার প্রায় ৬০ শতাংশ কৃষক সেক্সফেরমন ফাঁদ ও জৈববালই নাকশ ব্যাবহার করে সবজি উৎপাদনের লক্ষ মাত্রা সফল হয়েছেন। চলতি মৌসুমে বেগুনের বাজার মুল্য ভালো থাকায় অধিক লাভবান হবেন, বলে আশাবাদ ব্যাক্ত করেছেন কৃষক সুরেশ্বর সহ সবজি চাষিররা। এ প্রসংগে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোঃ ইনসাদ ইবনে আমিন ওরফে তুহিন জানান, ডুমুরিয়া কৃষকরা অনেক এগিয়ে যাচ্ছেন। আধুনিক প্রযুক্তিতে স্বাস্থ্য সম্মত উপায়ে সবজি উৎপাদন হচ্ছে।
বালাই দমনে রাসায়নিক কীটনাশক ব্যাতিরেকে সেক্সফেরমণ ফাঁদ ও জৈব বালাই নাশক ব্যাবহার করে বেগুন উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা প্রকাশ রায়ের সাথে নিয়ে বেগুন ক্ষেত পরিদর্শনসহ বিভিন্ন প্রকার সবজি উৎপাদনের লক্ষমাত্রা পূরণ করতে সক্ষম হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।